আর হাতে বাকি ২০ দিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে সময়সীমা স্মরণ কলকাতা হাইকোর্টের

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের কাজে ক্ষুব্ধ হয় সুপ্রিম কোর্ট। আর তাই এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়মের তদন্ত দু’মাসের মধ্যে সিবিআইকে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ, বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশই সিবিআইকে মনে করিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আসলে সিবিআই যেসব দাবি আদালতে করেছিল তার কোনও তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরতে পারেনি। এমনকী সময় পেলেও প্রমাণ জোগাড় করা যায়নি। কিন্তু প্রভাবশালী বলে একের পর এক নেতা–মন্ত্রীকে গারদে ভরা হয়েছে। তাই সময় যে বেশি নেই এদিন সেই কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলছে। যার কোনও শেষ দেখা যাচ্ছে না। তাই গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ সিবিআইকে এই দুর্নীতির তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সুতরাং সেই নির্দেশ সিবিআই মানলে, আগামী ৯ জানুয়ারি তারিখের মধ্যেই এসএসসি নিয়োগ মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটা আদৌ সম্ভব কিনা বোঝা যাচ্ছে না। আর তদন্তের গতিপ্রকৃতি বুঝতে না পেরেই আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৯ জানুয়ারির মধ্যেই তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে আর মাত্র ২০ দিন।

অন্যদিকে সিবিআই এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়েছে। সেখান থেকে কি নথি হাতে এসেছে সেটা কেউ জানে না। তার উপর জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রমাণ জোগাড় করার কাজও হয়েছে। তাতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করলে তার ভোগান্তি অনেক। নভেম্বর মাসের নির্দেশে একদিকে সিবিআইকে অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চকেও এই মামলার নিষ্পত্তি করতে সময় বেঁধে দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। তাই কলকাতা হাইকোর্ট এখন সিবিআইকে একটু চাপে রাখল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌কে থামাতে পারবে রাজ্যে নয়া আমদানি এই বোম্বাগড়ের রাজাকে’‌, ব্রাত্যর নিশানা কার দিকে?

এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই চূড়ান্ত রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ার পর ৬ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর মোট ২১টি মামলায় ফেরত যায় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু আগে তো চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। তারপর তো মামলার নিষ্পত্তি। সেখানে আগের শুনানিতে এসএসসি’‌র কাছ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ জানতে চেয়েছিল, বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ করে থাকে। আজ, বুধবারের শুনানিতে এসএসসি সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে।