‘‌কে থামাতে পারবে রাজ্যে নয়া আমদানি এই বোম্বাগড়ের রাজাকে’‌, ব্রাত্যর নিশানা কার দিকে?

এখনও স্থায়ী উপাচার্য নেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকী রাজ্যের বাকি ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই অবস্থা। তার মধ্যে রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই আছে। তার ফলে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জট কাটেনি। বরং বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। এখন সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন বিষয়টি। তবে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সমাবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডেকেছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।

অনুমতি না নিয়ে কেন এমন করলেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর উত্তর জানতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবন থেকে। তাতে আরও বিপাকে পড়েছেন উপাচার্য। আর সেটা নিয়েই এবার রাজ্যপাল তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্স হ্যান্ডেলে ব্রাত্য বসু লিখেছেন, ‘রাজ্যপাল সমাবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় কোর্ট মিটিং ডাকতেই সম্মতি দেননি। আইনি অনিশ্চয়তার কারণ দেখানো হয়েছে। অথচ উনি এই একই আইনি পরিমণ্ডলে রাজ্য সরকারের অনুমোদন না নিয়েই একাধিক সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন করিয়েছেন। তাহলে কি পড়ুয়াদের স্বার্থ নয়?‌ রাজ্য সরকারের বিরোধিতাই সব কিছুর মূলে? জোছনা রাতে আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েদের চোখে এইভাবে উনি আলকাতরা মাখাতে চান?‌ কে থামাতে পারবে রাজ্যে নয়া আমদানি এই বোম্বাগড়ের রাজাকে?‌’‌ এই ভাষাতেই খোঁচা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে কারও নাম করেননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যা লিখেছেন, সবই ভাববাচ্যে। কিন্তু এই সংঘাতপূর্ণ আবহ দেখে ধরে নেওয়া হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নয়া অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সমাবর্তন ইস্যুতে আলোচনার জন্য আজ, বুধবার জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটি বৈঠক ডাকেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। কিন্তু সেই বৈঠকের আগেই আজ বিকেলে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থানে বসে গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ। অধ্যাপকদের অভিযোগ, তাঁরা কিছু দাবি নিয়ে বারবার আসছেন উপাচার্যের কাছে। কিন্তু কোনও দাবি পূরণ হচ্ছে না। উপাচার্যের থেকে রিকুইজিশনে সই পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:‌ বড়দিনে মাঝরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, সূচিতে ব্যাপক রদবদল নিয়ে জারি বিজ্ঞপ্তি

অন্যদিকে এই সমস্যা এখন কেমন করে মিটবে তা বোঝা যাচ্ছে না। রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে সমাবর্তন আপাতত বিশ বাঁও জলে। আর এই সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে নয়া সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘‌রাজভবন থেকে একটি চিঠি এসেছে। সেই চিঠির ভিত্তিতে এখন সমাবর্তন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। এই কারণে এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই ইসি বৈঠকে আমাকে যেতে দিলেন না অধ্যাপকরা। তাঁদের বক্তব্য, এখনই তাঁদের সব দাবি পূরণ করতে হবে।’‌