রাস্তা আটকে কেকের পসরা বসানো যাবে না, জরিমানার সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার

হাতে আর বেশি সময় নেই। আর পাঁচদিনের মাথায় রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ‘‌বড়দিন’‌ অর্থাৎ যিশু খ্রীষ্টের জন্মদিন। সুতরাং এখন থেকে ফেস্টিভ মুড শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এখন কেক–পেস্ট্রির বাজার। এসব কিনতে মানুষ ভিড় করছেন নিউ মার্কেট থেকে শুরু করে গড়িয়াহাটে। কিন্তু রাস্তার উপর কেকের পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসা করার জেরে পথচলতি মানুষজন বেজায় অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন। কেউ কেউ ধাক্কা পর্যন্ত খাচ্ছেন। এমনকী দোকানের জায়গার বাইরে গিয়েও রাখা হচ্ছে কেক–পেস্ট্রি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র। এই অভিযোগ পাওয়ার পর এবার জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।

এদিকে দোকানের জায়গা ছেড়ে বাড়তি জায়গা নিয়ে ব্যবসা করলে কলকাতা পুরসভা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দোকানের জায়গার বাইরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা যাবে না। রাস্তা আটকে কেকের পসরা বসানো যাবে না। এই নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে শুধু নির্দেশিকা জারি করেই থেমে থাকেননি কলকাতা পুরসভার অফিসাররা। তাই জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে তিলোত্তমার রাজপথে। এখন পার্ক স্ট্রিট, অ্যালেন পার্ক সেজে উঠেছে। আর ওই পথে বা ডালহাউসি, ধর্মতলা–সহ নানা পথে কেকের পসরা সাজিয়ে বসলে এবং ধরা পড়লে কড়কড়ে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। তাই মহানগরীর রাস্তায় এখন জোরদার টহল শুরু করেছেন কলকাতা পুরসভার অফিসাররা।

অন্যদিকে এই ৫০০ টাকা একবার দিলে সাত–খুন মাপ হবে না। প্রত্যেকদিন ৫০০ টাকা দিতে হবে রাস্তা দখল করে ব্যবসা করার জন্য। এক্ষেত্রে মাসে মোট জরিমানার টাকার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৫ হাজার। যা ব্যবসায়ীরা দিতে গিয়ে চাপে পড়বেন। ফলে তাঁরা রাস্তা আটকে ব্যবসা করবেন না। এই বিষয়ে মেয়র পারিষদ সদস্য (‌বাজার)‌ আমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘‌নিয়ম অনুযায়ী যতটুকু দোকান তার মধ্যেই ব্যবসা করতে হবে। দোকানের বাইরে রাস্তা আটকে টেবিল রেখে কেকের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। পথে হাঁটতে পারবেন না মানুষজন, এটা হতে পারে না। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।’‌

আরও পড়ুন:‌ সিআইডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আইনজীবীর, বিচারপতি স্ত্রীকে জড়াতেই চিঠি স্বামীর

এই কাজ করলে দোকান মালিককে প্রথমে নোটিশ দেওয়া হবে। আর কলকাতা পুরসভা যে নিয়ম জানাচ্ছে তা না মানলে ৫০০ টাকা প্রত্যেকদিন জরিমানা করা হবে। এভাবে ফুটপাত এবং রাস্তা দখল করে ব্যবসা করার অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কারণ তিনি নিজে হাঁটতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন রাস্তায়। খাদ্যভবনের সামনে যেভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা হচ্ছে তা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মেয়র। আর তারপরই কলকাতা পুরসভার বাজার বিভাগের অফিসারদের পদক্ষেপ করতে বলেছেন। খাদ্যভবন আর কলকাতা পুরসভা ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত। এখানেই যদি এমন হয় তাহলে কলকাতার আর জায়গায় কি হচ্ছে!‌