Birbhum: প্রশাসনের রাজনীতিকরণের ষোলোকলা পূর্ণ, তৃণমূলের মঞ্চে উর্দিধারী পুলিশ আধিকারিক

ফের একবার রাজ্যে প্রশ্নের মুখে পুলিশের নিরপেক্ষতা। এবার তৃণমূলের মঞ্চে দেখা গেল ২ পুলিশ আধিকারিকদের। তার মধ্যে একজন আবার উর্দি পরেই উঠে পড়েছেন শাসকদলের মঞ্চে। বীরভূমের নানুরে এই ঘটনায় রাজ্যে প্রশাসনে দলতন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি তৃণমূল।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নানুরের চণ্ডীদাস কলেজে আয়োজন করা হয়েছিল একটি সভার। সভামঞ্চ সাজানো হয়েছিল TMCP-র পতাকায়। পিছনে ছিল মমতা ও অভিষেকের ছবি। মাঝখানে সংগঠনের প্রতীক। সেই সভায় হাজির ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝিসহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। সেই মঞ্চেই উর্দি পরে সামনের সারিতে বসে থাকতে দেখা যায় নানুর সার্কেল ইন্সপেক্টর কল্যাণ প্রসাদ মিশ্রকে। সাধারণ পোশাকে মঞ্চে ছিলেন নানুর থানার আইসি শেখ ইসরায়েল।

এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল ও প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অষ্টম মণ্ডল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনের সম্পূর্ণ রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। ফের একবার সেকথা প্রমাণিত হল। প্রশাসন নিরপেক্ষ হলে এই ২ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে দেখাক’। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পুলিশের কাজ এখন শুধু তৃণমূলের হয়ে তোলা তোলা। থানা গুলোকে পার্টি অফিস বানিয়ে দিয়েছে। বহু জায়গায় তৃণমূলের সংগঠন পরিচালনা করছেন থানার ওসি। সেই রাজত্বে এসব অসম্ভব নয়।’ এই নয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কোনও মন্তব্য করেননি কাজল শেখও।