Dog comes to dead man’s mom: তাকে বাঁচাতে গিয়েই মৃত্যু! যুবকের মায়ের কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দিল কুকুর

দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের  শিবমোগা জেলার বাসিন্দা বছর একুশের তিপেশ । গত ১৬ নভেম্বর শিবমোগার এক রাস্তায় বাইক দুর্ঘটনা হয় তাঁর। সেই দুর্ঘটনাই প্রাণ কাড়ে যুবকের। নাহ, কোনও গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেনি। তাঁর বাইকের সমানে এসে পড়েছিল রাস্তার একটি কুকুর। কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েন ওই যুবক । মাথায় গুরুতর চোট পান তিপেশ। চিকিৎসকদের চেষ্টাতেও বাঁচানো যায়নি তাকে। মৃত্যু হয় তিপেশের। তবে এটা যতটা না আশচর্যের, তার থেকেও বেশি আশ্চর্যের ঘটনা এর পরের অংশ। যা শুনলে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে যেতে হয়।

(আরও পড়ুন: Viral brain teaser: ধাঁধাকে পারবেন কুপোকাত করতে? রইল দিনের সেরা ৫ ধাঁধার হদিশ)

আট কিমি পাড়ি দিল কুকুর

সংবাদমাধ্যমকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান ওই কুকুর তাদের বাড়ি এসেছিল। আসল দুর্ঘটনাস্থল ছিল প্রায় আট কিলোমিটার দূরে। অতটা দূরত্বই পেরিয়ে সেটি এসে পৌঁছায় তাদের বাড়িতে‌। তবে কোনও ক্ষতি করতে নয়‌। বরং এসে সে যা করে তা রীতিমতো অবাক করার মতো ঘটনা। 

মৃত যুবকের মা কী বলছেন

এক সংবাদমাধ্যমকে তিপেশের মা যশোধাম্মা বলেন, ছেলের দাহকাজের পরে একটি কুকুর আমাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছিল। কিন্তু পাড়ার কুকুরের জন্য সে ঢুকতে পারেনি‌। ক’দিন বাদে সুযোগ পেয়ে কুকুরটা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই ছেলের মায়ের হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। যশোধাম্মার কথায়, সবার মনে হয়েছে ও তিপেশের মৃত্যতে শোকপ্রকাশ করছিল। এর পর থেকে কুকুরটি তাদের বাড়িতেই থাকছে।

(আরও পড়ুন: Amazon Prime Lite এবার ৭৯৯ টাকায়! কী কী সুবিধা থাকছে বড়দিনের মরসুমে)

তিপেশের আত্মীয়রা কী বলছেন

কুকুরটি প্রায় ৮ কিলোমিটার হেঁটে তিপেশের বাড়ি পৌঁছায়।  তিপেশের এক আত্মীয় জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে তিপেশের বাড়ি। তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় কুকুরটি গাড়িটিকে অনুসরণ করেছিল। বাড়িতে শেষকৃত্যের সময়ও কুকুরটি আশেপাশেই ছিল। তিন দিন পরে, কুকুরটি বাড়িতে প্রবেশ করে। এবং যুবকটির  মায়ের কাছে যায় ।

তিপেশের  বোন চন্দনা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে কুকুরটির ওপর তাদের কোনও রাগ নেই। এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। নেহাত দুর্ভাগ্যবশত ভাইকে হারিয়েছেন চন্দনা। বরং এই ঘটনার পর কুকুরটির ঘটনা দেখেই তারা আশ্চর্য হয়েছেন। কুকুরটির নিয়ে আপাতত বেশ ভালো রয়েছেন তাঁরা।