Mouse Fever Russia: চোখ থেকে বেরোচ্ছে রক্ত! কী এই ‘মাউস ফিভার’, যে রোগে আক্রান্ত রাশিয়ার সেনারা

দুই বছর ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দুই বাহিনীর মধ্যে এখনও লড়াই থামার লক্ষণ নেই। হালে ইউক্রেন দাবি করেছে, একটি রোগ রাশিয়ার সেনাদের ধ্বংস করছে। এ রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের চোখ থেকে রক্ত পড়ে, প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও বমি হতে থাকে। এই রোগের নাম ‘মাউস ফিভার’। 

ইউক্রেনের প্রধান গোয়েন্দা দফতরের তরফে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে, এই ‘মাউস ফিভার’-এর কথা। রাশিয়ান ইউনিটগুলির মধ্যে নাকি ছড়িয়ে পড়েছে এই অসুখ।

কী কী জানা গিয়েছে এই রোগটি সম্পর্কে?

এই রোগটি এক ধরনের স্ট্রেপ্টোকক্কাল সংক্রমণ এবং ইঁদুরের সঙ্গে সরাসরি ভাবে সম্পর্কিত। ইঁদুরের মলের মাধ্যমে ছড়ায় এটি। যে সব এলাকায় ইঁদুরের মল থাকে, সেখানকার বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগের জীবণু। তার পরে সেখানে শ্বাস নিলে মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়ে এই রোগ। 

ইউক্রেনের তরফে বলা হয়েছে যে, বেশ কয়েকটি উপসর্গের মধ্যে রয়েছে গুরুতর মাথাব্যথা, শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বেড়ে যাওয়া, সারা গায়ে ফুসকুড়ি এবং লাল-লা ভাব, নিম্ন রক্তচাপ, চোখ দিয়ে রক্তপাত, বমি বমি ভাব এবং দিনে বেশ কয়েকবার বমি হওয়া।

(আরও পড়ুন: অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি? কীভাবে এখন থেকেই সাবধান হবেন)

মাউস ফিভার কতটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে?

ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ দাবি করেছে, এই রোগের প্রাদুর্ভাবের কথা যখন উঠেছিল, তখন তা রাশিয়ান কমান্ডাররা উপেক্ষা করে। ইউক্রেন বলেছে যে, রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই রোগটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এমনকী সে দেশের সেনারা যখন এই রোগের কথা জানিয়েছিল, তখন রাশিয়া গোটা বিষয়টিকে একটি অজুহাত বলেই ভাবে। তারা মনে করেছিল, সেনারা যুদ্ধ করতে চাইছে না। তাই ‘মাউস ফিভার’-এর কথা বলে সেটি এড়াতে চাইছে। ইউক্রেনের দাবি, বিষয়টি মোটেও তা নয়। ভালো ভাবেই ছড়িয়েছে এই সংক্রমণ।

(আরও পড়ুন: ক্যানসার প্রতিরোধ করবে রান্না ঘরের এই উপাদান! এর গুণাগুণ জানলে মুগ্ধ হবেন)

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারেও, মাউস ফিভার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, যার কারণে রাশিয়ান সৈন্যদের লড়াইয়ের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে, ক্রেমলিন বলেছে যে রাশিয়া ইউক্রেনে ২২ মাসের যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনার কোনও ভিত্তি বর্তমানে দেখছে না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন হাতের বাইরেই রয়েছে। আগামী দিনে এই ‘মাউস ফিভার’ কতটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বও।