Wrestler Bajrang Punia Said The Government Didn’t Fulfil Its Promise After Sanjay Singh’s WFI Chief Elections Win

নয়াদিল্লি: তাঁদের লড়াইটা ছিল ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের (Brij Bhusan Saran Singh) বিরুদ্ধে। গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল, দেশের মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থা করেছেন ব্রিজভূষণ। প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন দেশের পদকজয়ী পালোয়ানরা।

বৃহস্পতিবার অবশ্য দেশের প্রথম সারির কুস্তিগীরদের মন ভাল নেই। কারণ, নির্বাচনে ৪০-৭ ভোটে জিতে জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সঞ্জয় সিংহ। যাঁর আরেক পরিচয়, তিনি ব্রিজভূষণের বিজনেস পার্টনার। খুবই ঘনিষ্ঠতা রয়েছে দুজনের। তাহলে কি বকলমে ব্রিজভূষণই চালাবেন জাতীয় হকি সংস্থা? পালোয়ানদের অন্তত সেরকমই আশঙ্কা।

ক্ষোভে ফুঁসছেন বজরঙ্গ পুনিয়া (Bajrang Punia)। বলেছেন, ‘আমরা সত্যের জন্য লড়াই করছিলাম। মহিলাদের সম্মানের জন্য লড়াই করছিলাম। তা নাহলে আমরা সক্রিয় অ্যাথলিট। দেশের জন্য পদক জয়ই আমাদের কাছে প্রাধান্য পায়। আমি মনে করি না মেয়েরা সুবিচার পাবে কারণ সিস্টেমই সেরকম নয়। মহিলাদের ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়। বিচারব্যবস্থায় আমাদের এখনও আস্থা রয়েছে। তবে সরকার কথা রাখেনি।’

বৃহস্পতিবার ভারতীয় কুস্তি সংস্থার (WFI) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন সঞ্জয় সিংহ (Sanjay Singh)। যিনি কুস্তি সংস্থার অপসারিত প্রেসি়ডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের (Brij Bhushan Saran Singh) ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

আর সেই ক্ষোভে কুস্তি থেকে অবসরই নিয়ে ফেললেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik)! ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে যখন বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশের পালোয়ানরা, তখন সেই প্রতিবাদে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাক্ষী। তবে বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়ে দিলেন, অবসর নিচ্ছেন। সাক্ষী বলেছেন, ‘হৃদয় দিয়ে লড়াইটা করেছিলাম। আমরা ৪০ দিন রাস্তায় শুয়েছিলাম। যাঁরা আমাদের প্রতিবাদে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। ব্রিজ ভূষণ সিংহের বিজনেস পার্টনার এবং ঘনিষ্ঠ কেউ যদি ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট হন, আমি কুস্তি ছেড়ে দিচ্ছি।’ তারপরই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় সাক্ষীকে।

নির্বাচনের দিন বারবার নির্ধারিত হয়েও আদালতের নির্দেশে তা পিছিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার হল সেই নির্বাচন। নয়াদিল্লিতে এদিনই ভোটাভুটি হয়। গণনা শুরু হয় তারপরই। সেখানে বিপুল ভোটে জয় পান সঞ্জয়। যিনি উত্তর প্রদেশ কুস্তি সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্টও। সঞ্জয় মোট ৪০ ভোট পেয়েছেন। যেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী অনিতা শেওরান পেয়েছেন মাত্র ৭ ভোট।

নির্বাচনে জিতে সঞ্জয় বলেছেন, ‘দেশের হাজার হাজার পালোয়ান গত ৭-৮ মাসে যে যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, এটা তার জয়।’ ভারতীয় কুস্তিপ্রেমীরা অবশ্য নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় আশার আলো দেখছেন। কারণ, ভারতীয় কুস্তি সংস্থাকে নির্বাসিত করেছিল আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থা। তবে নির্বাচন হওয়ায় সেই নির্বাসন এবার উঠে যাওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: ৩ জন একসঙ্গে খেললেই ভয় পাবে প্রতিপক্ষ! কেকেআর সমর্থকদের জন্য আশার কথা শোনালেন গম্ভীর

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে