পুরোটা বানানো ও মিথ্যা, বিচারপতি সিনহার স্বামীর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল CID

সিআইডি আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে’‌কে বিচারপতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে। এবার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিল সিআইডি। আজ, বৃহস্পতিবার সিআইডি’‌র পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে ওই আইনজীবীর অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে সিআইডি। অথচ সিআইডি’‌র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র।

এদিকে সিআইডি আজ দীর্ঘ বিবৃতি জারি করেছে। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে, যে অভিযোগ তুলেছেন এবং তার জেরে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই সমস্ত অভিযোগ বানানো, ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। আইনজীবীকে কোনওরকম মানসিক হেনস্থা করা হয়নি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সমস্ত তথ্য অডিয়ো এবং ভিডিয়ো রেকর্ড করা আছে। তদন্তকারী সংস্থার ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। যে তদন্ত চলছে আইনজীবীর বিরুদ্ধে তা ঘুরিয়ে দিতেই এটা করা হয়েছে।

অন্যদিকে সিআইডি’‌র বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিচারপতির স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লেখার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করে প্রতাপচন্দ্র দে’‌র অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে সিআইডি। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে চলছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা। সেখানে এমন অভিযোগ সিআইডি’‌র বিরুদ্ধে তুলেছেন তাঁর স্বামী তথা আইনজীবী। এই আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে’‌র বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে। সিআইডি’‌র দাবি, প্রতাপচন্দ্র দে’‌কে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সময়মতো চা এবং জল খেতে দেওয়া হয়েছে। যখন তিনি চেয়েছেন, ধূমপানের জন্যও সময় দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ চিতাবাঘের তুমুল গর্জনে আতঙ্কে ডুয়ার্সের গ্রামবাসীরা, ভোর হতেই ঘটল ঘটনা

এছাড়া বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী পেশায় আইনজীবী। একটি মামলায় তাঁকে চলতি মাসেই পর পর দু’বার তলব করে সিআইডি। ওই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে প্রতাপচন্দ্র দে’‌র অভিযোগ, তাঁর বিচারপতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লেখানোর জন্য চাপ দিয়েছে সিআইডি। তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দেন। তার পর একই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সিআইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইনজীবীর সঙ্গে যথাসম্ভব ভাল ব্যবহার করেছেন তদন্তকারীরা। গোটা বিষয়টি রেকর্ড করা আছে সিসি ক্যামেরায়।