‘মোদীর আমলেই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কমেছে,’ বাংলা নিয়ে বলতেই অনুরাগকে পালটা দেবাংশুর

কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, বাংলায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এ নিয়ে পালটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের যুব নেতা তথা আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। নরেন্দ্র মোদী সরকারের অধীনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কমে গিয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে অনুরাগ ঠাকুরকেও তিনি আক্রমণ করতে ছাড়েননি।

আরও পড়ুন: TMC–র অন্ধ বিরোধিতা করা বঙ্গ কংগ্রেসের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে-কেন ক্ষুব্ধ দেবাংশু

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর আমলে বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম সূচকে ভারত ১৪০ থেকে ১৬১–তে নেমে এসেছে। তাঁর সরকারের আমলে সাংবাদিকরা নিজেদের কাজ করার জন্য শারীরিক নির্যাতন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করে গ্রেফতার, অভিযোগ এবং নজরদারির সম্মুখীন হচ্ছেন।’ উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ দোলা সেন সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন জমা দিয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনুরাগ বলেছিলেন, বাংলায় সাংবাদিকরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার ভ্যানে ভাঙচুর করা হয়েছিল। এটা বাংলার দরিদ্র মানুষদের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র। সাংবাদিকরা ভয়ে সেই ঘটনা দেখাতে পারছেন না বা লিখতে পারছেন না।’ অনুরাগ ঠাকুর বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত সাংবাদিকদের নিরাপদ পরিবেশে করতে দেওয়ান 

অনুরাগ জানান, পশ্চিমবঙ্গে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সাংবাদিকেরা নিরাপদ বোধ করছেন না। সেখানে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। রাজ্যের দায়িত্ব হল তাদের সুরক্ষা প্রদান করা। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের কোথায় কতজন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন সে বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন অনুরাগ। তিনি জানান, ২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে ৩ চিত্র সাংবাদিক প্রহৃত হয়েছিলেন। এছাড়া ২০১৫ সালে পুর ভোটের সময় সল্টলেকে ২০ জন সাংবাদিক প্রহৃত হয়েছিলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চার জন এবং ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে ১০ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, সংসদে এই প্রশ্ন জমা দিলেও উত্তর দেওয়ার সময় তিনি সংসদে ছিলেন না।