Shai Hope’s Blitz Helps West Indies Register 3-2 Series Win Against England Get To Know

বার্বাডোজ: ইংল্যান্ডের (Englan Cricket Team) বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ (T20 Series) জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies)। শেষ ম্যাচটি জিতে ৩-২ ব্যবধানে ব্রিটিশ বাহিনীকে হারিয়ে দিল ক্যারিবিয়ানরা। ৪৩ রানের ম্য়াচ জেতানো ইনিংস খেললেন শাই হোপ। ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ক্যারিবিয়ান বাহিনী। শেষ ম্য়াচে টস জিতে প্রথমে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার ও ফিলিপ সল্ট। বাটলার ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। সল্ট ভাল শুরু করলেও ২২ বলে ৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি তাঁর ইনিংসে। লোয়ার মিডল অর্ডারে লিভিংস্টোন ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। মঈন আলি ২৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্য়ান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। 

ক্যারিবিয়ান বোলারদের মধ্যে গুদাকেশ মোতি ৩ উইকেট নেন। জেসন হোল্ডার ও আকিল হোসেন ২টো করে উইকেট নেন। আন্দ্রে রাসেল ২ উইকেট নেন। 

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে জনসন চার্লস ও ব্রেন্ডন কিং ওপেনে নামেন। কিং মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও চার্লস ২৭ রান করেন। নিকোলাস পুরান ১০ রান করেন। এছাড়া ৪৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শাই হোপ। ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান বোর্ডে তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় ভারতের 

এদিকে, সিরিজ় জয় ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে (IND vs SA 3rd ODI) ম্যাচে ৭৮ রানে হারিয়ে ২০১৮ সালের পর মাত্র দ্বিতীয়বার রামধনুর দেশে ওয়ান ডে সিরিজ় জিতল ভারত। ২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২১৮ রানেই অল আউট হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। বল হাতে চার উইকেট নিলেন ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার অর্শদীপ সিংহ (Arshdeep Singh)।

গত ম্যাচে দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার রিজা হেন্ডরিক্স এবং টনি ডি জর্জ়ির ওপেনিং পার্টনারশিপই ম্যাচ ভারতের নাগাল থেকে দূরে নিয়ে গিয়েছিল। দুই ওপেনার এদিনও দুরন্তভাবে শুরু করেন। দারুণ ছন্দে দেখাচ্ছিল ডি জর্জ়ি। ম্যাচের সপ্তম ওভারেই বিনা উইকেটে অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সিরিজ়ে তৃতীয়বার হেন্ডরিক্সকে আউট করে ভারতকে ম্যাচের প্রথম সাফল্য এনে দেন অর্শদীপ। 

তিনে নামা রাসি ভ্যান দার দাসেন যেটুকু সময় ছিলেন ক্রিজে, ততক্ষণ রান করতে চাপে পড়েন। ১৭ বলে দুই রান করে অক্ষরের বোলিংয়ে আউট হন তিনি। তবে ডি জর্জ়ি এক দিক ধরে রাখেন। নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। দুইজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রান যোগ করেন। মারক্রামকে ৩৬ রানে আউট করেন ওয়াশিংটন সুন্দর।

মুকেশ যখন সেট ডি জর্জ়ির ক্যাচ মিস করেন, তখন ভারতীয় সমর্থকরা নিশ্চয়ই গত ম্যাচে তাঁর শতরানের কথা মনে করছিলেন। তবে অর্শদীপ সিংহের ঠিকানা লেখা বলে তাঁকে ৮১ রানে ফিরতে হয়। এরপরেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ধস নামে। হেনরিখ ক্লাসেনকে অনবদ্য আবেশ খানের বলে ক্যাচ নিয়ে ২১ রানে সাজঘরে ফেরান সাই সুদর্শন। কোনওরকমে দু’শো রানের গণ্ডি পার করলেও, আর বেশিদূর এগোতে পারেনি প্রোটিয়া দল।