Bacteria Named after Rabindranath Tagore: রবিঠাকুরের নামে জীবাণুর নাম, এমন কী করতে পারে সে, যে কারণে পেল এমন সম্মান

বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সব সময়ে সব রকম ভাবে জড়িয়ে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর প্রতিটি সৃষ্টিই অধিকাংশ বাঙালিকে নানা ভাবে জীবনযাপনের শক্তি জোগায়। তাঁর লেখা থেকে বাঙালি নানা সময়েই পছন্দের কিছুর নামকরণ করে। তা হতে পারে, সন্তানের নাম, কিংবা নিজের সুন্দর বাসস্থানের। কিন্তু তা বলে একটি জীবাণুর নাম? হালে এমনই ঘটিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? কী সেই ঘটনা, জানলে চমকে যাবেন। 

হালে বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সন্ধান পেয়েছেন একটি ব্যাকটিরিয়ার। আর সেটিরই নামকরণ হয়েছে রবিঠাকুরের নামে। কেন এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত? কী করে এই ব্যাকটিরিয়া? এই উত্তরের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে নামকরণের রহস্য।

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে নামকরণ করা হয়েছে এই ব্যাকটিরিয়ার। এই জীবাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে Pantoea Tagorei। এটি একেবারে নতুন আবিষ্কৃত হওয়া একটি জীবাণু। কোথায় পাওয়া গিয়েছে এটিকে? গবেষকরা জানিয়েছেন, কয়লা খনিতে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এই জীবাণুটির। বিশ্বভারতীর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গবেষকরা এই জীবাণুটির সন্ধান পেয়েছেন সেই এলাকায়। এটি মূলত ফসফরাসকে দ্রবীভূত করে। এছাড়াও মাটিতে নাইট্রোজেন ভাণ্ডার পূরণ করতেও পারে এটি। কিন্তু তা বলে এমন নামকরণের কারণ কী?

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য বুম্বা দাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে এই ব্যাকটিরিয়ার নামকরণের পিছনে রয়েছে একটিই বিশেষ কারণ। রবিঠাকুর নিজে গাছপালা পছন্দ করতেন এবং কৃষিকাজে তাঁর নিজের নানা রকমের অবদান রয়েছে। কৃষির উন্নতির জন্য তিনি বিজ্ঞানসাধনায় উৎসাহও দিতেন। আর সেটিই এই নামকরণের প্রধান কারণ। এই ব্যাকটিরিয়া Pantoea Tagorei এই কাজটিই করতে পারে। কী সেটি?

বিজ্ঞানীদের কথায়, Pantoea Tagorei ফসফরাসকে দ্রবীভূত করে এবং মাটিতে নাইট্রোজেন ভাণ্ডারকে পূরণ করে— এই দু’টিই উদ্ভিদকে বাঁচেত সাহায্য করে আর তাদের ফলন বাড়ায়। ফলে সেই হিসাবে নতুন খুঁজে পাওয়া ব্যাকটিরিয়াটিকে পরিবেশের জন্য এবং মানুষের জন্য অত্যন্ত ভালো বলেই বিবেচনা করা যেতে পারে। আর সেই কারণেই এমন নামকরণ করা হয়েছে জীবাণুটির। 

তবে এখনই এই ব্যাকটিরিয়া সম্পর্কে সব কিছু বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। আগামী দিনে এটি নিয়ে আরও গবেষণা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। আর সেটি হলে এই জীবাণু সম্পর্কে আরও নানা রকম তথ্য সামনে আসবে বলে বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, কৃষিকাজের ক্ষেত্রে বা পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এটিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা।