Heart Attack Prevention: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে চান তো? তাহলে নিয়মিত এই পরীক্ষাগুলি করান

বর্তমান সময়ে আমাদের পরিবর্তিত জীবনযাপনের জন্য হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে বয়স্কদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা গেলেও বর্তমানে যুবসমাজও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য নিয়মিত ‘রুটিন চেকআপ’ করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। নিয়মিত ‘রুটিন চেকআপ’-এর মাধ্যমে হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলির অবস্থা এবং কার্যকারিতা সংক্রান্ত সমস্যা বোঝা যায়। এছাড়া ‘রুটিন চেকআপ’ উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং করোনারি ধমনী রোগের মতো সমস্যা সনাক্ত করতে সাহায্য করে।

হার্টের স্বাস্থের উপর আমাদের সুস্থতা এবং জীবনের মান নির্ভর করে। বর্তমানের দ্রুত গতিতে চলা আমাদের জীবন যাপনে আমরা আমাদের স্বাস্থের উপর সঠিক ভাবে নজর রাখার সময় পায় না, কিন্তু কখন আমাদের হার্ট চেকআপ করা উচিত সেই লক্ষণগুলি সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা উচিত।

আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যকে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, বা করোনারি ধমনী রোগ প্রভৃতি রোগগুলি প্রভাবিত করে। যাদের এই সকল রোগ গুলি রয়েছে, তাদের উচিত নিয়মিত হার্ট চেকআপের মধ্যে থাকা। একমাত্র নিয়মিত হার্ট চেকআপ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা অন্যান্য জটিল অসুখ গুলির থেকে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA) অনুসারে, হৃদরোগের স্বাস্থ্য বোঝার জন্য নিম্নলিখিত কিছু সাধারণ নির্দেশিকা রয়েছে।

রক্তচাপ পরীক্ষা: কমপক্ষে প্রতি দুই বছরে একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত।

রক্তের কোলেস্টেরল পরীক্ষা: কমপক্ষে প্রতি চার থেকে ছয় বছরে একবার পরীক্ষা করা উচিত।

রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা: চল্লিশ বছর থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর হলে প্রতিবছর অন্তত একবার রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করা উচিত।

যাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাদের ঘন ঘন রুটিন চেকআপের মধ্যে থাকা উচিত। এছাড়া যাদের ইতিমধ্যেই হার্টের রোগ রয়েছে বা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়েছে, তাদেরও উচিত রুটিন চেকআপের মধ্যে থাকা।

রুটিন চেকআপ ছাড়াও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমেও হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের ভালো রাখা সম্ভব, যেমন সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধূমপান ত্যাগ করা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রয়োজনে ওষুধ গ্রহণ করা। হার্ট চেক আপ শুধুমাত্র হৃদরোগের সমস্যা নির্ধারণ করে না, জীবন রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।