Kolkata Municipal Corporation: নীল–সবুজ বালতিতে পৃথকভাবে বর্জ্য ফেলার নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরসভা

গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কলকাতায় চালু হয়েছে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রকল্প। যার মাধ্যমে নাগরিকদের আলাদাভাবে ফেলতে হচ্ছে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা। এর জন্য কলকাতা পুরসভার তরফে সব বাড়িতে একটি করে নীল ও সবুজ বালতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও অনেকেই সেই নিয়ম মানছে না। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভা। অভিযোগ অনেকেই নীল–সবুজ বালতি অন্য কাজে ব্যবহার করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এবার থেকে কেউ এই বালতির অপব্যবহার করলে সে ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট গৃহেস্থের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে কলকাতা পুরসভা।

আরও পড়ুন: ই-বর্জ্য সংগ্রহে কলকাতা পুরসভার ৩ বরোতে থাকবে ড্রপবক্স, জানালেন মেয়র

বুধবার এই প্রসঙ্গে পুরসভার মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, এই বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণের ক্ষেত্রে রান্নাঘরের বর্জ্য বা পচনশীল বর্জ্য সবুজ বালতিতে ফেলতে হবে এবং নীল বালতিতে শুকনো বর্জ্য যেমন প্লাস্টিক, কাগজ, কাচ এবং ধাতু অর্থাৎ অপচনশীল বর্জ্য ফেলতে হবে৷ এ সমস্ত বর্জ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে কলকাতা পুরসভার কাছে ৭০০ ব্যাটারিচালিত গাড়ি রয়েছে। এই গাড়িগুলির সাহায্যে বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ধাপার ময়দানে ফেলা হয়। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য আগামী দিনে আরও ৩০০টি ব্যাটারিচালিত গাড়ি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে কলকাতা পুরসভার। 

এ বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এর জন্য প্রতিটি মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। বিষয়টিকে কলকাতা পুরসভা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। নাগরিকরা যাতে সঠিকভাবে পুরসভার দেওয়া বালতি ব্যবহার করেন তারজন্য মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার গত সপ্তাহে পুরসভার মাসিক অধিবেশনে সমস্ত পুরপ্রতিনিধিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেছিলেন। পুরসভার মতে, এই কাজ শুধু পুরসভার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। তবেই উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ করা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, পরিবেশ দূষণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যে পুরসভার উদ্যোগে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হয়েছে। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ হল পুরসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।