Robert Solow: প্রয়াত নোবেলজয়ী রবার্ট সোলো! অর্থনীতিতে প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে বড় কাজ ছিল তাঁর

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন রবার্ট সোলো। উন্নত দেশগুলিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কীভাবে প্রযুক্তি সাহায্যে করছে, তা নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। এই বিষয়ে অর্থনৈতিক তত্ত্বও আবিষ্কার করেন তিনি। এর জন্য নোবেল পুরস্কারও পান অর্থনীতিবিদ। বৃহস্পতিবার ৯৯ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কে প্রয়াত হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটনে তাঁর বাড়িতেই মারা যান প্রবীণ অর্থনীতিবিদ। 

(আরও পড়ুন: ফেল করতে করতেই হয়ে উঠলেন বিশারদ! জাতীয় গণিত দিবস পালন করা হয় তাঁর জন্মবার্ষিকীতে)

নোবেলজয়ী সোলো

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ১৯৮৭ সালে সোলোকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। উৎপাদন সম্প্রসারণের জন্য তিনি একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেন। যা আজও অর্থনীতির অন্যতম সম্পদ। করার জন্য, এটি এমন একটি ক্ষেত্রের অংশ যা গ্রোথ অ্যাকাউন্টিং নামে পরিচিত হয়েছিল। নোবেল সংস্থার তরফে পুরস্কার ঘোষণার সময় বলা হয়েছিল, সোলোর বৃদ্ধির মডেলটি এমন একটি কাঠামো যা দিয়ে আধুনিক সমষ্টিগত অর্থনীতির তত্ত্বকে গঠন করা যায়।

অর্থনীতিতে প্রযুক্তির ভূমিকা

১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল তাঁর বেশ কিছু নিবন্ধ সিরিজ আকারে প্রকাশিত হয়। তাতে সোলো দেখান, ততদিনে অর্থনীতিবিদদের প্রস্তাবিত বৃদ্ধির মডেলগুলি অপর্যাপ্ত । কারণ ওই মডেলগুলিতে পুঁজি এবং শ্রমের উপর ফোকাস করা হয়েছিল। নোবেল জয়ের পর তিনি সংবাদমাধ্যম শিকাগো ট্রিবিউনকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তাঁর কাজ থেকে যে বিষয়টা উঠে এসেছে, তা হল প্রযুক্তির পরিবর্তন — বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং তার অগ্রগতি — অর্থনীতিতে যে উন্নয়নের পিছনে যার মুখ্য ভূমিকা ছিল।

(আরও পড়ুন: গুগলই বলে দেবে ট্রেন কোথায় আছে! একগুচ্ছ সুবিধা পাবেন ২০২৪ সালের নয়া আপডেটে)

অর্থনীতিতে প্রযুক্তির প্রভাব পরিমাপের পদ্ধতি বিজ্ঞানীদের কাছে অধরা ছিল। তাঁর কথায়, এই নিয়ে প্রথম থেকেই তাঁর ভাবনা ছিল। তাঁর কথায়, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে একটি বড় সুযোগ রয়েছে যা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। মিনিয়াপোলিসের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ২০০২ সাল এমনটাই বলেন তিনি। আরেক বিখ্য়াত অর্থনীতিবিদ পল স্যামুয়েলসন তাঁর বন্ধু এমআইটি গবেষণায় সহকারী ছিলেন। ১৯৭০ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পান তিনি। সোলো কর নীতি এবং ব্যয়ের মাধ্যমে অর্থনীতি পরিচালনায় সরকারের সক্রিয় ভূমিকার পক্ষে কথা বলেছিলেন। যে ধারণার জন্মদাতা ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস।