‘‌বাংলায় সত্যিকারের সান্তা ক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’‌, দাবি করলেন মেয়র

রাত পোহালেই বড়দিন। জোরকদমে রাজ্যজুড়ে চলছে প্রস্তুতি। তার সঙ্গে সান্তা ক্লজের অপেক্ষা। উপহার নিয়ে কি আসবে সান্তা ক্লজ? এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলায় সত্যিকারের সান্তা ক্লজ বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ক্রিস্টমাস কার্নিভালের উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সান্তা ক্লজ বলে দাবি করেন তিনি। উল্টোডাঙার মুচিবাজারে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউতের উদ্যোগে ক্রিস্টমাস কার্নিভাল শুরু হয়। যা আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

এদিকে ইতিমধ্যেই দোকানে বিক্রি হচ্ছে কেক, পথ সেজেছে আলোর রোশনাইয়ে। আর সুসজ্জিত রঙিন পোশাক পরা মানুষের ঢল নেমে পড়েছে রাজপথে। সান্তা ক্লজের উপহারের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে কচিকাঁচারা। রূপকথায় আজও তারা বিশ্বাস করে। এবার এই উৎসবের মরশুমে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সান্তা ক্লজ বলে দাবি করলেন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, শুধু বড়দিনের সময় নয়, সারা বছরই রাজ্যের মানুষকে নানা উপহার দিয়ে ভরিয়ে রেখেছেন যিনি, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই বাংলার সান্তা ক্লজ।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করতে শোনা যায় আজ পুরমন্ত্রীর গলায়। আজ, রবিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌আগে সান্তা ক্লজের উপহারের আশায় রাত জেগে বসে থাকতাম। ঘুম থেকে উঠেই দেখতাম মাথার কাছে সাজিয়ে রাখা নানা উপহার। শিশুমন বিশ্বাস করত, সান্তা এসেই সেসব দিয়ে গিয়েছে। বড় হয়ে বুঝতে পারলাম, মা–বাবাই সান্তার ভূমিকা পালন করেন। এখন আমি উপলব্ধি করছি, সান্তা ক্লজ সত্যিই আসে। শুধু ক্রিস্টমাসের সময় আসে না, সারা বছর আসে। যে ছোট মেয়েগুলিকে বলা হয় যে, আর পড়াশোনা করার টাকা নেই, বিয়ে দিয়ে দেব। তখন সেই সান্তা ক্লজ এসে তাকে কন্যাশ্রীর টাকা দিয়ে বলে তোমাকে এখনও পড়তে হবে, জীবনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মেয়ের বিয়ে কী করে দেব? এই চিন্তায় পড়লেই সান্তা ক্লজ এসে বলে রূপশ্রীর কার্ডটা নাও। মেয়ের বিয়ে সসম্মানে দাও। একজন বাংলার সেই সান্তা ক্লজ আছেন, যিনি সবকিছু আমাদের দিয়েছেন। সেই সান্তা ক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় সত্যিকারের সান্তাক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’‌

আরও পড়ুন:‌ ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে কি গীতাপাঠ হল?‌ কুণাল ঘোষের হিসেবে তৈরি বিস্তর বিতর্ক

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আজ স্বাস্থ্যসাথীর কথাও বলেছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ‘‌সরকারি থেকে বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালে অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসায় সান্তা ক্লজ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও দেন। বাংলায় সান্তা ক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী যাতে দীর্ঘায়ু হন, সুস্থ সবল, কর্মক্ষম থাকেন, তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।’ এখন‌ বড়দিন উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে শহর। পার্কস্ট্রিট থেকে বো–ব্যারাক আলো ঝলমল করছে। ছুটির আমেজে এই ক্ষণে অনেকেই বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন। বড়দিনে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে কলকাতা। শহরে নজরদারিতে থাকবেন ৩ হাজারের বেশি পুলিশ।