দিল্লি বিমানবন্দরে সিআইএসএফের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেল ধর্ষণের অভিযুক্ত

সিআইএসএফের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেল পঞ্জাবের লুধিয়ানায় একটি ধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্ত। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিআইএসএফ। শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় সিআইএফের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি বিমানবন্দর পুলিশ এই একটি এফআইআর দায়ের করে এবং পলাতক ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।   

আরও পড়ুন: ২৬ বছরের পুরনো ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্তকে মুক্তি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

জানা গিয়েছে, পলাতক ওই ব্যক্তির নাম আমনদীপ সিং। পঞ্জাবের ফতেহগড় সাহেবের বাসিন্দা আমনদীপ ২০ ডিসেম্বর বাহরিন থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে এসেছিল। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছিল পঞ্জাব পুলিশ। ফলে বিমানবন্দরে আসার পরে অভিবাসন কর্মকর্তারা তাকে বাধা দেন। পরে তাকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ কর্মীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে গ্রেফতার এড়িয়ে গিয়েছে।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত একজন সিনিয়র অফিসার জানান, অভিযুক্ত আমনদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের খান্না থানায় আইপিসির ধর্ষণের একটি মামলা রয়েছে৷ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই পলাতক রয়েছে আমনদীপ। ঘটনায় পঞ্জাব পুলিশ লুকআউট নোটিশ জারি করে অভিযুক্ত আমনদীপ সিং সম্পর্কে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরের অভিবাসন বিভাগকে সতর্ক করেছিল। 

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ২০ ডিসেম্বর। সিআইএসএফ কর্মীদের হেফাজতে থাকার সময় সকাল ১০ টার দিকে সিআইএসএফ গার্ড ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে কাউন্টারে লাফ দিয়ে ৩৩ নম্বর গেট দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বিমানবন্দর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, যে অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে। আমনদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।