Bus theft: টুরিস্ট বাস চুরি করে পালাল চোর, GPS ট্র্যাকারের সাহায্যে উদ্ধার করল পুলিশ, ধৃত ১

মোবাইল বা বাইক চুরি নয়, কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে চুরি হয়ে গেল আস্ত একটি টুরিস্ট বাস। বাসটি চুরি করে সোজা নদিয়ায় চলে আসে চোর। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। বাসে থাকা জিপিএসের সাহায্যে অবশেষে চোরকে ধরে ফেলে পুলিশ। একইসঙ্গে বাসটিকেও উদ্ধার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে। ঘটনায় মোট একজনকে গ্রেফতার হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে বাইক চুরির গ্যাং চালাত ‘দিদি’, পর্দাফাঁস করল পুলিশ, ধৃত ২

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিল টুরিস্ট বাসটি। কিন্তু, শনিবার বিকেল নাগাদ বাসটিকে সেখানে না দেখে এক ব্যক্তি বাসের মালিক সুজয় খানকে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তিনি তড়িঘড়ি বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখেন বাসটি সত্যি সত্যি সেখানে নেই। এরপর বাসে লাগানো জিপিএস ট্র্যাক করে তিনি বাসটির অবস্থান জানার চেষ্টা করেন। তখন তিনি জানতে পারেন বাসটি নদিয়ার নবদ্বীপের দিকে যাচ্ছে। ঘটনায় তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ নবদ্বীপের রেল লাইনের কাছে জোড়া ব্রিজের পাশ থেকে বাসটি উদ্ধার করে। সেখানেই চোরকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চোর বাস নিয়ে পালালেও তাতে যে জিপিএস ট্র্যাকার বসানো রয়েছে তা থেকেই জানা সম্ভব হয় বাসটি কোনদিকে যাচ্ছে বা কোথায় রয়েছে? এরফলে বাসের সন্ধান পেতে অসুবিধা হয়নি পুলিশের।

এই ঘটনায় ধৃত ব্যক্তির নাম সুব্রত শেখ। সে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার চককাকমারি এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বাসটি চকদহে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল চোর। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও বড়চক্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে এক পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাসে যে প্রযুক্তি ছিল তা চোরের জানা ছিল না। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই বাসটিকে উদ্ধার করতে বেশি সমস্যা হয়নি। বাসটির খোঁজ পাওয়া যায় নবদ্বীপ রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে তার তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। জানা গিয়েছে, বাসটি ৬ বছর আগে ৫০ লক্ষ টাকায় কিনেছিলেন সুজয়। ঘটনার সময় বাসে চাবি ছিল। সেই কারণে বাসটি নিয়ে পালাতে সমস্যা হয়নি চোরের। কেন বাসের মধ্যে চাবি রাখা হয়েছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাস মালিক। একই সঙ্গে বাসটি চাকদহ থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।