‘‌এটা ভরাডুবির কমিটি’‌, অমিত শাহের আসন টার্গেট নিয়ে তীব্র কটাক্ষ কুণাল ঘোষের

লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বড় অঙ্কের আসন টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডা। বাংলা থেকে ৩৫টি আসন জিততে হবে বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার–শুভেন্দু অধিকারীদের। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে রাজ্য বিজেপিকেই। সেখানে কেন্দ্র কোনও সাহায্য করতে পারবে না। এমন কথাই বলেছেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর। এই ৩৫টি আসন জিততে ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম গড়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। আর এই টার্গেট শুনে হেসে ফেলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এমনকী শাহের টার্গেটকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ।

একমাস আগেই ধর্মতলায় সভা করতে এসে আসন সংখ্যা বলতে পারেননি খোদ অমিত শাহ। বরং বলেছিলেন, বাংলা থেকে এত পরিমাণ আসন জিততে হবে যাতে মোদী বলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন বাংলার জন্য। সেখানে বাংলা থেকে ৩৫টি আসন জেতার টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন শাহ। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘৩৫টি দূরে থাক, আগে বাংলায় ৩ থেকে ৫টি আসন জিতে দেখাক বিজেপি। কমিটি গড়ে এখন থেকে বেছে রাখলেন ভরাডুবির পর কাদের দায়ী করতে পারবেন। এটা ভরাডুবির কমিটি। ৩ আর ৫ জুড়লে তবে তো ৩৫ হবে।’

এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও রাজ্যে এসে নিয়মিত সভা করেছিলেন অমিত শাহ, জেপি নড্ডা, নরেন্দ্র মোদী–সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কিন্তু দুই অঙ্ক পেরতে পারেনি বিজেপি। মোদীর অশ্বমেধের ঘোড়া রুখে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। এবারও লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট গড়ে লড়াই করে বিজেপিকে বাংলায় এবং গোটা দেশে ধাক্কা দিতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়টিকেই সামনে রেখে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ওনারা বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জার করেছেন। এতে আমাদেরও একটা সুবিধা। যত বেশি মানুষ ওঁদের মুখ দেখবেন, তত বাংলার প্রতি তাঁদের বঞ্চনার কথা মনে পড়বে। তাই ওঁরা যত বেশি আসবেন, ততবার হারবে।’‌

আরও পড়ুন:‌ উদয়ন পুত্র সায়ন্তন গুহর বিরুদ্ধে এফআইআর, বিজেপির অভিযোগ দায়ের দিনহাটা থানায়

অন্যদিকে বিজেপির সংগঠন বাংলায় তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। সে কথা বিজেপি নেতাদের মুখেই শোনা যায়। সেখানে এই টার্গেট পূরণ করা বঙ্গ–বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় সেটা সবাই বুঝতে পারছেন। তবে এখন দেখার বিষয় কোন স্ট্র‌্যাটেজিতে এগোয় বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। তবে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। ১৫ জনের কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে জাত গোখরো নেই। তারপরও কোন অঙ্কে এমন টার্গেট ঠিক হল তা নিয়ে বঙ্গ–বিজেপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে ফিসফাস শুরু হয়েছে।