Bengal govt jobs: রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে ৭০০-এর বেশি নিয়োগের আশ্বাস দিলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

রাজ্যের সরকারি গ্রন্থাগারগুলিকে সক্রিয় করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি গ্রন্থাগার দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে লাগিয়ে গ্রন্থাগারগুলি চালাতে হবে। কর্মীর অভাবে গ্রন্থাগার চালাতে সমস্যার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। গত বছর গ্রন্থাগারগুলির কর্মী সঙ্কট কাটিয়ে সচল করে তুলতে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি, এদিকে কর্মীর অভাবে ধুঁকছে গ্রন্থাগারগুলিও। 

এরই মধ্যে আরও একবার রাজ্যের বিভিন্ন গ্রন্থাগারগুলিতে শূন্য পদে নিয়োগের বিষয়ে মুখ খুললেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে  রাজ্যের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে  মোট ৭৩৮ জন ব্যক্তিকে নিয়োগের কথা প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। গত শনিবার বারাসাতের প্যারীচরণ সরকার রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ৩৫তম জেলা গ্রন্থাগার মেলার উদ্বোধনে এসে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন এই নিয়োগের বিষয়ে বারাসাত পুরসভার ব্যবস্থাপনায় জেলা জনশিক্ষা প্রসার এবং গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের উদ্যোগে বারাসাতের এই গ্রন্থ মেলা চলবে চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত। এই গ্রন্থ মেলায় সবমিলিয়ে ১০৫টি প্রকাশনা সংস্থা সাজিয়ে বসেছে তাদের বুকস্টল। 

শনিবার মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি। প্রাথমিকভাবে মেলায় সারাও মিলছে বেশ ভালো। উদ্বোধনের দিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, রাজ্যের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার। এছাড়াও ছিলেন সেই অঞ্চলের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বারাসাতের মেলা থেকেই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানান আগামী বছর ১৩৮ জন ব্যক্তির বিয়োগের বিষয়টি। তিনি বলেন ২০২২ সালেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন, সেই নিয়োগ এই বছরের শেষে অথবা আগামী জানুয়ারি মাসে হবে। 

সারা রাজ্যের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নিয়োগের সংখ্যা সব থেকে বেশি। এই জেলা থেকে মোট ৬০ জন গ্রন্থাগার কর্মীকে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এই নিয়োগ যদি আমরা করতে পারি, তাহলে জেলার অনেকটাই শূন্য পদ কমাতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। এখন দেখার এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ হয়ে কবে সচল হয় রাজ্যের বিভিন্ন গ্রন্থাগারগুলি।