‘Dunki’ Flight passengers quizzed by CISF: ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরতেই CISF-এর জেরা, মুখ লুকোলেন ‘ডাঙ্কি’ উড়ানের ২৭৬

ফ্রান্স থেকে আজ সকালেই মুম্বই এসে পৌঁছান ২৭৬ জন ভারতীয়। বিমানে করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মধ্য আমেরিকায় যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় ফ্রান্সে বিমানটিকে আটকানো হয়েছিল কয়েকদিন আগে। এই আবহে ভ্রমণের বৈধ নথিপত্র না থাকায় দেশে ফিরতে হয়েছে সেই ২৭৬ ভারতীয়কে। আর দেশে ফিরতেই বিমানবন্দরে সিআইএসএফ-এর জেরার মুখে পড়েন এই যাত্রীরা। পরে একে একে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে এই উড়ানের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন যাত্রীদের সঙ্গে। তবে ক্যামেরা ও সাংবাদিকদের বুম দেখেই প্রত্যেকেই মুখ লুকিয়ে ফেলেন। এড়িয়ে যান সংবাদমাধ্যমকে।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল একটি বিমান। সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেই বিমানে করে মানব পাচার করা হচ্ছে। তাতে ছিলেন ৩০৩ জন ভারতীয়। এই আবহে রবিবার এই মামলায় ফরাসি আদালত নির্দেশ দেয়, বিমানে থাকা ভারতীয়রা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন। এদিকে আটক করা বিমানটিকেও ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই আবহে জানা যায়, ফ্রান্সে আটক হওয়া সেই বিমানটি অধিকাংশ ভারতীয়দের নিয়ে সোমবারই মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে। এই আবহে ফরাসি সময়ে দুপুর আড়াইটে নাগা ভাট্রি বিমানবন্দর থেকে সেটি উড়ে যায় আকাশে। আর আজ ভোর ৪টে নাগাদ মুম্বই বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে সেটি। এদিকে বিমানটিতে ৩০৩ ভারতীয় ফ্রান্সে আটকে পড়লেও সেখান থেকে দেশে ফিরেছেন মাত্র ২৭৬ জন। বাকিরা ফ্রান্সেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই সবের মাঝেই উড়ান সংস্থার আইনজীবী কথা বলেন ফরাসি প্রশাসনের সাথে। রিপোর্ট অনুযায়ী, যে বিমানে করে এই ভারতীয়দের মধ্য আমেরিকার দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটি এ৩৪০। রোমানিয়ার ‘লেজেন্ড এয়ারলাইন্স’ নামক সংস্থার দ্বারা বিমানটি পরিচালিত হয়। অবশেষে সেই বিমানে করেই ভারতীয়দের ফ্রান্স থেকে মুম্বইতে নিয়ে আসা হল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে জ্বালানি ভরাতে নেমেছিল রোমানিয়ার বিমানটি। সেই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানটিকে আটকেছিল ফরাসি পুলিশ। জানা যায়, সেই বিমানে থাকা ৩০৩ জন ভারতীয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই কাজ করতেন। সেখান থেকেই নিকারাগুয়ার এই বিমানে চাপানো হয়েছিল তাদের। সেখান থেকে আমেরিকা বা কানাডায় এই ভারতীয়দের পাচার করা হত বলে দাবি করা হয়।