Waqf Board: তৃণমূল জমানায় ওয়াকফ বোর্ডের বেহাল দশা, বৃত্তি পান না মেধাবীরা, কর্মী সংকট ভয়াবহ, আমলই দেয় না নবান্ন?

রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের অধীন ওয়াকফ বোর্ড। সেই বোর্ডের কর্মীর সংখ্যা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। এদিকে অত্যন্ত স্বল্প সংখ্য়ক কর্মী দিয়ে বোর্ড চালাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিপুল সম্পত্তি কীভাবে দেখভাল করা যাবে, কীভাবে বোর্ডের কাজকর্ম চলবে তা নিয়ে কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না।

কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। কিন্তু সেগুলি দেখভাল করার জন্য অন্তত ১৫জন ইনসপেক্টর থাকার কথা। কিন্তু পরিস্থিতি এমনই যে একজন ইনসপেক্টরও নেই এখন।

পরিসংখ্যান বলছে ওয়াকফ বোর্ডের কর্মী থাকার কথা ১১২জন। কিন্তু সেখানে কর্মী রয়েছেন মাত্র ২৫জন। তার মধ্যে ১৯জনই অস্থায়ী কর্মী। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ অস্থায়ী কর্মী দিয়ে কীভাবে বোর্ডের কাজকর্ম চলবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

এদিকে বিরোধী দল বিশেষত বিজেপির পক্ষ থেকে বার বারই অভিযোগ তোলা হয় সংখ্য়ালঘু তোষণ করেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। এমনকী তৃণমূল সংখ্য়ালঘুদের দিকে একটু বেশি করে ঝুঁকে থাকে বলে বার বারই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের বর্তমান হাল দেখে তো অন্যরকম ইঙ্গিত করছেন অনেকেই।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আব্দুল গনি জানিয়েছেন, কর্মী নিয়োগ করতে নিয়মিত নবান্নে চিঠি পাঠানো হলেও কোনও আমলই দেওয়া হয় না। রাজ্যজুড়ে ওয়াকফ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ করার সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে প্রতি বছর মোটা টাকার কর পাওয়ার কথা বোর্ডের কিন্তু কর খেলাপিরা কর না দেওয়ায় সংখ্য়ালঘুদের স্বার্থে উন্নয়নমূলক কাজও ব্যহত হচ্ছে।

এদিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেধাবী পড়ুয়াদের এককালীন বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করত বোর্ড। এদিকে ২০২১ সাল থেকে সেই কাজটাও বন্ধ। এনিয়ে সংখ্য়ালঘু পরিবারের অন্তর্গত মেধাবী পড়ুয়ারা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। তবে চেয়ারম্য়ানের দাবি, আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে বোর্ড। নতুন করে কোনও কাজ হচ্ছে না।

এখানেই প্রশ্ন তৃণমূল জমানায় সংখ্য়ালঘুদের উন্নয়নকল্পে গঠিত ওয়াকফ বোর্ডের এই বেহাল দশা হল কীভাবে?