Winter Physical Problems: শীতে সর্দি-কাশির ঝামেলা মিটছেই না? জেনে নিন সহজে নিস্তারের উপায়

দিন দুয়েক আকাশ মেঘলা, শীতের তীব্রতাও কমেছে। তবে ডিসেম্বরের শেষ থেকে নামবে পারদ। উত্তুরে হাওয়া যত বাড়বে, ততই ক্রমশ নীচে নামবে পারদ। আর ঠান্ডার দিনে সর্দি-কাশিও নিত্যসঙ্গী। প্রত্যেক বারের মত বছরের এই সময়ে আপনিও সহজেই কাবু হতে পারেন সর্দি-কাশিতে। তবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি নিজের শরীরের প্রতি এই সময়ে একটু বাড়তি যত্নশীল হন এবং কিছুটা নিয়ম মেনে চলেন, সহজেই নিজেকে আটকাতে পারবেন অসুস্থ হওয়া থেকে। আসুন জেনে নিই কী উপায়ে সুস্থ থাকবেন শুষ্ক শীতের মরশুমে।

হাইড্রেট থাকা: শীতের এই সময়টায় বিশেষজ্ঞরা আপনাকে হাইড্রেট থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। আপনাকে অবশ্যই বেশি পরিমানে জল, ফলের রস, হালকা সুপ, মধু সহ উষ্ণ লেবু জল পান করলে আপনি ডিহাইড্রেট অনুভব করবেন না। তবে চিকিৎসকরা আপনাকে ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে বলেছেন কারণ এগুলি আপনাকে ডিহাইড্রেটেড করতে পারে এবং আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

গার্গল: উষ্ণ লবণ জল দিয়ে দিনে অন্তত দু’বার গার্গল করতে ভুলবেন না। গার্গল করলে গলায় ব্যাথা, সর্দি-কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়। তবে ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের গার্গল করার সময় বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

জিঙ্ক লজেন্স: জিঙ্ক লজেন্স আপনাকে তাড়াতাড়ি সর্দি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এজন্যেই ডাক্তাররা এই লজেঞ্জ গ্রহণ করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও, আপনি যদি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন তবে জিঙ্ক খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। সংমিশ্রণ আপনার ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে। জিঙ্ক আপনার শরীরের আপনার ইমিউন সিস্টেম এবং বিপাককে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

নোজাল স্প্রে: চিকিৎসকেরা বলছেন, নাকের স্প্রে ট্যাবলেটের চেয়ে দ্রুত ও ভালো কাজ করে কারণ ডিকনজেস্ট্যান্টগুলি প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আপনার অবরুদ্ধ নাকে পৌঁছায়। এই স্প্রেগুলি ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে, ব্যথা কমাতে এবং সর্দি-কাশির উপসম কম করতে সাহায্য করে। তবে আপনাকে এই সময়ে পরিষ্কার জল ব্যবহার করতে হবে, তা না হলে সংক্রমক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

বিশ্রাম: ঠান্ডার প্রকোপ থেকে আপনার শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে এই উপায় গুলি অবলম্বন করে ঠান্ডার সময় নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন। তবে এসব ছাড়াও আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।