উৎসশ্রী পোর্টাল ফের চালু হোক, সরব রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি সংক্রান্ত পোর্টাল উৎসশ্রী ফের চালু করার জন্য সরব হলেন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠনগুলি। গত শুক্রবার শিক্ষা দফতরের সচিব মনিশ জৈনের কাছে উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করার বিষয়ে একটি ডেপুটেশন দেয় বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতি। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০২৩-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। শিক্ষকদের দাবি নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই যেন এই পোর্টালটি পুনরায় খোলা হয়। অন্যদিকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোর্টাল বন্ধ থাকবে বলে শিক্ষা দফতরের তরফে জানান হয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত উৎসশ্রী পোর্টাল চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম।

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ রেখেছিল শিক্ষা দফতর। শুক্রবার দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পোর্টাল। বন্ধ থাকবে সমস্ত শিক্ষক বদলি। দফতরের দাবি, রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। সেজন্য সমস্ত জেলায় শূন্যপদের সঠিক সংখ্যা জানা প্রয়োজন। শিক্ষক বদলি চালু থাকলে নির্দিষ্ট সংখ্যা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বন্ধ থাকবে পোর্টাল। চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং শুরু হয় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। সেই কাউন্সেলিংয়ের প্রথম দফার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।

এবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব স্কুলে নিয়োগ করা হবে, সেই জায়গাগুলি অনলাইনে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা সূত্র ধরেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ মনে করছেন উচ্চ প্রাথমিকেও নিয়োগ দ্রুত হবে। ফলে নতুন করে উৎসশ্রী পোর্টালটি চালু করতে কোনও রকম সমস্যা থাকবার কথা নয়, এমনই জানিয়েছেন সংগঠনের নেতা স্বপন মন্ডল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতামত মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে অন্তত কোনও রকম সমস্যা থাকবার কথা নয়। নতুন করে পোর্টাল খোলার পাশাপাশি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলির আবেদন করেছিলেন, তাদের আবেদনেও সাড়া দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের কাছেও এই মর্মে আবেদন জানায় বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতি। এখন দেখার ঠিক কবে শিক্ষা দফতর এই পোর্টালটি খোলার বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা নেয়। সেদিকেই তাকিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।