দুবাইয়ে গৃহবন্দি মহাদেব বেটিং অ্যাপের মালিক সৌরভ চন্দ্রকর

অনলাইন বেটিং অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত মহাদেব অ্যাপের প্রধান প্রমোটার সৌরভ চন্দ্রকর দুবাইতে ধরা পড়ে গিয়েছেন। এখন তাকে ‘গৃহবন্দি’ রাখা হয়েছে এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে আসার জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করছে।

এদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শিগগিরই কোটি কোটি টাকার এই কালো টাকা সাদা, অর্থাৎ মানি লন্ডারিং মামলায় নতুন করে চার্জশিট দাখিল করতে পারে। সূত্রের খবর, দুবাইয়ে চন্দ্রকরের অবস্থানের কথা ফেডারেল এজেন্সিকে জানানো হয়েছে।

এর আগে রায়পুরের বিশেষ প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) আদালতে পেশ করা প্রথম চার্জশিটে চন্দ্রকর এবং সহ-অভিযুক্ত রবি উপ্পাল সহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছিল ইডি। ওই চার্জশিটে সৌরভ চন্দ্রকরের কাকা দিলীপ চন্দ্রকরের বয়ান উদ্ধৃত করে ইডি জানায়, ২০১৯ সালে দুবাই যাওয়ার আগে তিনি ছত্তিশগড়ের ভিলাই শহরে ভাইয়ের সঙ্গে ‘জুস ফ্যাক্টরি’ নামে একটি জুসের দোকান চালান।

ইডি দাবি করেছে যে সৌরভ চন্দ্রকর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রাস আল খাইমায় বিয়ে করেছিলেন এবং এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা ‘নগদ’ ব্যয় করা হয়েছিল, যেখানে তার আত্মীয়দের ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত জেট ভাড়া করা হয়েছিল এবং সেলিব্রিটিদের পারফর্ম করার জন্য অর্থ প্রদান করা হয়েছিল।

ইডি এই মামলায় ছত্তিশগড় থেকে নভেম্বরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করবে বলে আশা করা হচ্ছে -তথাকথিত ক্যাশ কুরিয়ার অসীম দাস এবং পুলিশ কনস্টেবল ভীম যাদবের বিরুদ্ধে।

ইডির নির্দেশে ইন্টারপোলের জারি করা রেড নোটিশে দুবাইয়ের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বেটিং এবং গেমিং অ্যাপের আরেক প্রমোটার ৪৩ বছর বয়সী উপ্পালকে আটক করার এক সপ্তাহ পরে কেসে নতুন মোড়। ছত্তিশগড় ও মুম্বই পুলিশের তদন্ত ছাড়াও অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকার অবৈধ বেটিং-এর সঙ্গে যুক্ত মানি লন্ডারিং মামলায় এই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি।

এর আগে ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় বেটিং অ্যাপ মামলায় জড়িত প্রধান সন্দেহভাজন দীপক নেপালিকে। দুর্গ ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং বৈশালী নগর পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়েছিল। ছত্তিশগড়ের বৈশালী নগরের বাসিন্দা নেপালি ভুয়ো আইডি সংগ্রহের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, যাতে বেটিং চক্রের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ অব্যাহত থাকে।