Congress MP Rahul Gandhi Works Out With Wrestlers In Haryana Practices Jiu Jitsu With Bajrang Punia Leaves After Breakfast

নয়াদিল্লি: সাত-সকালে কুস্তিগীরদের আখড়ায় হাজির হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। নেহাত আলাপচারিতা সেরে ফিরে এলেন না মোটেই। বরং কুস্তিগীরদের সঙ্গে কসরতেও যোগ দিলেন। যেমন তেমন করে ওয়র্ম আপ নয়, একেবারে জুজুৎসু (Jiu Jitsu) মারপ্যাঁচেও অংশ নিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই সেই মুহূর্তে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন,যাতে বজরঙ্গ পুনিয়ার (Bajrang Punia) সঙ্গে জুজুৎসুর মারপ্যাঁচ ঝালিয়ে নিয়ে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। তার পর একসঙ্গে প্রাতরাশও সারেন। (Rahul Gandhi)

বুধবার ভোরের আলো সবে ফুটেছে তখন। হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলার ছারা গ্রামের বীরেন্দ্র আর্য আখড়ায় আখড়ায় কসরতে ব্যস্ত ছিলেন বজরঙ্গ-সহ অন্য় কুস্তিগীররা। সেই সময় আচমকাই সেখানে হাজির হন রাহুল। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বজরঙ্গও হাজির ছিলেন আখড়ায়। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন রাহুল। কুস্তি ফেডারেশের প্রাক্তন প্রধান ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে।  

আর এসবের ফাঁকেই আখড়ায় বাকিদের সঙ্গে কসরতে যোগ দেন রাহুল। জুজুৎসুর প্রশিক্ষণ রয়েছে রাহুলের। লন্ডনে ব্রাজিলীয় জুজুৎসুর প্রশিক্ষণ নেন রাহুল। জাপানি মার্শাল আর্ট আইকিদোর প্রশিক্ষণে ব্ল্যাক বেল্টও রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধের কারিকুরিও রপ্ত করেছেন। বুধের সকালে বজরঙ্গকে সঙ্গে নিয়ে কুস্তির পাশাপাশি জুজুৎসু-ও ঝালিয়ে নিতে দেখা যায় রাহুলকে। 

রাহুল আসছেন বলে তাঁদের কাছে খবর ছিল না, এমনই জানিয়েছেন আখড়ার কুস্তিগীররা।  তাঁরা জানিয়েছেন, নিজেদের মতো কসরত করছিলেন তাঁরা। সেই সময়, সওয়া ৬টা নাগাদ আচমকাই হাজির হন রাহুল। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ থেকে কসরতে অংশ নেন। কুস্তি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন। তার পর জুজুৎসু-র কথা পাড়েন। কিছু পারপ্যাঁচ হাতে-কলমে সকলকে দেখান। তার পর কুস্তিগীরদের সঙ্গে বসে রাহুল বাজরার রুটি, দই এবং শাক সহকারে প্রাতরাশও সারেন।

আরও পড়ুন: Delhi Fog: দৃশ্যমানতা নেমে শূন্যের কাছাকাছি, ঘুন কুয়াশায় ঢাকল রাজধানী, উত্তর ভারতে পর পর দুর্ঘটনা, হত ১

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের তোলা অভিযোগ এবং কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান নিয়োগকে ঘিরে বিতর্ক নিয়েও এদিন রাহুল কথা বলেন বলে খবর। আখড়ার এক কুস্তিগীর জানিয়েছেন, রাহুলের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁরা। সব কথা রাহুল মন দিয়ে শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন ওই কুস্তিগীর। যাওয়ার আগে রাহুলকে জমি থেকে তুলে আনা মূলাও উপহার দেন কুস্তিগীররা। বজরঙ্গ জানিয়েছেন, কুস্তিগীরদের দৈনন্দিন কার্য দেখতেই এসেছিলেন রাহুল।

পরে ট্যুইটারে নিজের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন রাহুলও। তিনি লেখেন, ‘বহু বছরের হাড়ভাঙা পরিশ্রম, শৃঙ্খলার উপর ভর করে, ঘাম, রক্তে মাটি ভিজিয়ে তবেই দেশের জন্য মেডেল নিয়ে আসেন একজন খেলোয়াড়। আজ ঝাজ্জরের ছারা গ্রামে বীরেন্দ্র আর্যের আখড়ায় পৌঁছে অলিম্পিকে পদকজয়ী বজরঙ্গ পুনিয়া এবং অন্য কুস্তিগীরদের সঙ্গে কথা হল। এখানে একটাই প্রশ্ন, আখড়া ছেড়ে এই সব খেলোয়াড় এবং ভারতের মেয়েদের যদি ন্যায় পেতে রাস্তায় নেমে লড়াই করতে হয়, তা চাক্ষুষ করে কোন মা-বাবা নিজের ছেলেমেয়েকে কুস্তির জন্য উৎসাহিত করবেন? এঁরা কৃষক পরিবারের সাধারণ, সরল মানুষ। এঁদের তেরঙ্গার সেবা করতে দিন। পূর্ণ মান-সম্মানের সঙ্গে ভারতের মাথা উঁচু করতে দিন’।

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে শামিল থেকেছেন বজরঙ্গ। তাঁর ঘনিষ্ঠকেই কুস্তি ফেডারেশনের মাথায় বসানো হলে, প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ‘প্দ্মশ্রী’ সম্মানও রেখে আসেন তিনি। তার পরই যদিও ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় সরকার। সেই আবহে বজরঙ্গ এবং বাকি কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। এর আগে, পদক ফিরিয়ে, অবসর ঘোষণা করা সাক্ষী মালিকের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও।