60 Percent Kannada Rule: কন্নড় ভাষায় সাইনবোর্ড নেই কেন? বেঙ্গালুরুতে ভাঙচুর দোকানে, ‘কাল আবার আসব’, এল হুঁশিয়ারি

কর্ণাটকে কন্নড় ভাষাতেই বেশিরভাগ নামফলক লাগাতে হবে। আর সেই দাবিকে সামনে রেখে এবার রাস্তায় কর্ণাটক রক্ষণ ভেদিকা নামে একটি সংগঠন। এমনকী তারা একাধিক দোকানে ভাঙচুর করেছে বলে খবর। ফোনিক্স মল অফ এশিয়ার সামনে তারা একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে খবর। বেঙ্গালুরুর রাস্তার সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্য়েই।

সংগঠনের সভাপতি টিএন নারায়ণ গৌড়া জানিয়েছেন, সাইনবোর্ডে ৬০ শতাংশ কন্নড় ভাষায় লেখার ব্যাপারে আমাদের সংগঠন সচেতন করতে নেমেছিল। এটাই সরকারি আইন। কিছু সোশ্য়াল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে ইংরেজি ছাড়া কন্নড় ভাষায় লেখা হয়েছে এমন সাইনবোর্ডেও ভাঙচুর করা হয়েছে।

কিন্তু ৬০ শতাংশ কন্নড় রুলটা ঠিক কী?

বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা এই নয়া আইন নিয়ে এসেছিল। তাদের দাবি, কন্নড় ভাষায় ৬০ শতাংশ সাইনবোর্ড দিতে হবে। অন্তত অর্ধেকের বেশি সাইনবোর্ড কন্নড় ভাষায় লিখতে হবে। এক্ষেত্রে ২৮ ফেব্রুয়ারি ডেডলাইন ঠিক করা হয়। এটা না মানলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার ট্রেড লাইসেন্সও বাতিল করা হবে।

তবে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ফেডারেশন অফ কর্ণাটক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বুধবার জানিয়েছে, ওই ডেডলাইনের আগে ব্যবস্থা নেবেন না। সকলকে বলা হবে তারা যাতে সরকারি নিয়ম মেনে চলেন। তবে সরকার যেন আগে ব্যবস্থা না নেয়।

এদিকে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে কন্নড় নাম না থাকলে কর্ণাটক থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসে বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করছেন। কিন্তু কন্নড় ভাষায় সাইনবোর্ড লিখছেন না। শুধু ইংরেজিতে লিখছেন। তারা যদি বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করতে চান তবে কন্নড় ভাষায় সাইনবোর্ড লিখুন। না হলে কর্ণাটক থেকে বেরিয়ে চলে যান।

এমনকী নারায়ণ গৌড়ার দাবি, পুলিশ মলের পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু কতদিন এটা করবে? কাল আবার আমাদের কর্মীরা বের হবে।

তবে মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার জানিয়েছেন, ওরা কি করেছেন জানি না। তবে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।