Howrah Carnival: মমতার হুঁশিয়ারিই সার, অরূপ বিশ্বাসের সামনেই হাওড়ায় মনোজ ও সুজয়ের হাতাহাতি

আশঙ্কাই সত্যি হল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়াপিকে কাঁচ কলা দেখিয়ে হাওড়ায় জারি রইল মন্ত্রী ও পুর প্রশাসকের দ্বৈরথ। রীতিমতো মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল ২ পক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনার পর এলাকা ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে পুলিশে। তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের কোন্দল থামাতে নামাতে হয়েছে ব়্যাফ।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ হাওড়া ইকো পার্কে পৌঁছন অরূপ বিশ্বাস। তার আগে উত্তর ২৪ পরগনার চাকলার কর্মিসভা থেকে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা। যদিও তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অনেকেই। কারণ, মমতার এই ধরণের হুঁশিয়ারিতে আগেও তেমন কর্ণপাত করেননি তৃণমূল কর্মীরা।

এদিন অরূপ বিশ্বাস ইকো পার্কের গেটে পা রাখতেই তাঁর সামনে হাওড়ার পুর প্রশসক সুজয় চক্রবর্তীকে এক ধাক্কা মারেন বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি। এর পর দুপক্ষের সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ধাক্কাধাক্কির মাঝে পড়েন অরূপ বিশ্বাসও। কোনও ক্রমে স্টেজ পর্যন্ত পৌঁছন তিনি। ওদিকে তখনও পার্কের বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন মনোজের অনুগামীরা। এই ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে এলাকা পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়।

এর পর স্টেজে উঠে অরূপ বিশ্বাসের সামনে সুজয় চক্রবর্তীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন মনোজ তিওয়ারি। ফের কার্নিভাল চালু হল বলে ঘোষণা করা হয় মঞ্চ থেকে।

বুধবার রাতে মনোজ ও সুজয়ের সংঘাতে বন্ধ হয়ে যায় হাওড়ার ক্রিসমাস কার্নিভাল। যার জেরে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, পার্কিং নিয়ে কয়েকজনের মধ্যে কী হয়েছে সেজন্য কার্নিভাল বন্ধ করার দরকার ছিল না। এটাকে সমর্থন করি না। কারও কোনও সমস্যা থাকলে জানাতে পারত। আজ অরূপ বিশ্বাস ওখানে গিয়ে বিষয়টা দেখবে। এর পর চাকলার সভায় মমতা বলেন, যদি কেউ এখনও দুঃখ করে ঘরে বসে থাকেন লোকাল ঝগড়ার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে আসুন’।

দলীয় কর্মীদের সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনও ঝগড়া বরদাস্ত করব না। আমাকে ৩৬৫ দিন কাজ করে যেতে হয় মানুষের জন্য। আর কেউ যদি লোকালি ভাবেন আমি বড় নেতা হয়ে গেছি পার্টিটাকে ভালো না বেসে নিজেকে ভালোবাসব, সেটা হবে না। সেটা করা যাবে না তৃণমূলে। তৃণমূলের কাজ হচ্ছে নিজেকে সেবা করা নয়, মানুষের সেবা করা। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার হচ্ছে মানুষের পরিবার। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমি বড় তাই আরেকজনকে পাত্তা দিলাম না। এটা সংগঠনের কাজ নয়। ছোট – বড় কেউ নিজে ঠিক করে না’। যদিও তৃণমূলনেত্রীর যাবতীয় তৎপরতার নিট ফল শূন্য।