Oil Price rise: ফের বাড়ল তেলের দাম! লোহিত সাগরের ভয় কাটলেও বাজারে যুদ্ধের জের

লোহিত সাগরে হুথি হামলার জেরে বিশ্বের বাজারে ওঠানামা বেড়ে গিয়েছিল তেলের দাম। বুধবার সেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তেলের দাম কমেছিল কিছুটা। কিন্তু ফের বৃহস্পতিবার একই অবস্থা দেখা গেল। ভয়ের পরিস্থিতি কেটে গিয়ে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজ যাতায়াত শুরু হয়েছে। কিন্তু তেলের দাম বাড়তে দেখা গেল বৃহস্পতিবার। 

(আরও পড়ুন: Weight loss: এক মাসেই কমবে ৫ কেজি! ৫ টিপস মেনে চলুন রোজ, হাতেনাতে ফল পাবেন ৩০ দিন পর)

  • আজ তেলের দাম কত

এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারসের দাম আজ ২০ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৯.৮৫ মার্কিন ডলার হয়েছে। যা প্রায় ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি। এটি আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী রাতদেড়টার হিসেব। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই ক্রুড ফিউচারস অনুযায়ী, তেলের দাম বাড়ল ২৪ সেন্ট। এই ক্ষেত্রেও দাম ০.৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৪.৩৫ মার্কিন ডলার হয়েছে। 

  • দাম পড়েছিল বুধবার

প্রসঙ্গত, বুধবার লোহিত সাগরের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল। বেশিরভাগ পণ্যবাহী জাহাজ ওই রুট ধরেই গন্তব্যে যেতে শুরু করে।  ফলে তেলের দাম ২ শতাংশ পড়ে যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই দামেই উলট পুরাণ দেখা গেল। নিসান সিকিউরিটিজের একটি ইউনিট এনএস ট্রেডিংয়ের প্রেসিডেন্ট হিরোয়ুকি কিকুকায়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইরানের জড়িয়ে থাকা গোটা পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। তাঁর কথায়, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও গাজা ও ইজরায়েলের যুদ্ধ জারি রয়েছে। এর ফলে মধ্য এশিয়ার অবস্থাও টালমাটাল।

(আরও পড়ুন: Hand and Leg Numbness: মাঝে মাঝেই পায়ে ঝিনঝিন ধরে? এটি একটি বড় রোগের লক্ষণও হতে পারে, কী করবেন)

  • ২০২৪-এর শুরুতেই তেলের বাজার ফিরতে পারে ছন্দে

তবে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলেই আশ্বাস দিচ্ছেন হিরোয়ুকি। কারণ শীত পড়তেই উত্তর গোলার্ধে কেরোসিনের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। পাশাপাশি তেল আমদানির ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল নীতি কিছুটা সহজ হয়েছে। বছরের শুরুতেই সবটা আগের মতো স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

  • কমতে পারে মার্কিন সুদের হার 

বাজারের চাহিদা বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমতে পারে। আগামী বছরের গোড়াতেই এমন নীতি নিতে পারে ফেডেরাল রিজার্ভ। সুদের হার কমলে ধার করার খরচ কমবে। ফলে একদিকে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। অন্যদিকে তেলের বাজারেও চাহিদা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের হিসেব অনুযায়ী, মার্কিন তেলের ভাঁড়ারে মজুত তেলের পরিমাণ বেড়েছে।