TET question leak: টেটের প্রশ্নপত্র ফাঁসে কি পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্মী জড়িত? প্রশ্ন পর্ষদ সভাপতির

কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও এবার টেটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই সোশ্যাল মাধ্যমে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে টেটের প্রশ্নপত্র। তাই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির পর টেটে স্বচ্ছতা আনার দাবি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তা সত্ত্বেও কীভাবে ফাঁস হয়ে গেল প্রশ্নপত্র? সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্রের কোনও কর্মী জড়িত আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। ইতিমধ্যেই মালদহের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ভুয়ো পরীক্ষার্থী পুষ্পাঞ্জলি সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাদের কোনও ভূমিকা ছিল কিনা বা তাদের চক্র কীভাবে কাজ করছে? সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের সভাপতি।

আরও পড়ুন: টেট পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে ঢোকায় গ্রেফতার দুই বন্ধু, মালদায় পুলিশের জালে তিন

গতবারের মতো এবারও কড়া নিরাপত্তা ছিল টেটে। তবে এবার বেশ কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্লাস্টিকে মোড়া মোবাইল। উত্তর দিনাজপুরে টেট পরীক্ষা চলাকালীন একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী শৌচাগরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। ফোন দেখে উত্তর লিখতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তিনি। সাধারণত পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও কীভাবে পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকলেন? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পর্ষদ সভাপতি খোদ নিজেই এই প্রশ্নগুলি তুলেছেন। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার আগের দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল রেখে আসার অনুমান করা হচ্ছে। আবার এর জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্মীদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পর্ষদ সভাপতি।

রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পরে পরীক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা সেই প্রশ্নপত্রগুলিকে মিলিয়ে দেখেন। এরপরই তাঁরা দাবি করেন, আসলে প্রশ্নের সঙ্গে এই প্রশ্নের পুরো মিল রয়েছে। এরপরই হইচই পড়ে যায় পরীক্ষার হলের বাইরে। এবার রাজ্যের ৮০০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে টেট হয়েছে। সেক্ষেত্রে একজন কর্মীর অসদাচরণ করলে তা আটকানো অসম্ভব বলেই দাবি করেছেন পর্ষদ সভাপতি। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, যদি পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়নি, পরীক্ষা শুরু হওয়ার অনেক পরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সেক্ষেত্রে পর্ষদ দায় নিতে পারবে না বলেই তিনি দাবি করেছেন।

পর্ষদ কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, যেহেতু পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ফলে সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা উপকৃত হয়নি। কারণ পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে ছিলেন। তাদের কারও কাছে মোবাইল ছিল না। তবে প্রশ্ন উঠেছে, যাদের কাছে মোবাইল ছিল তাদের কাছে তো উত্তর চলে গিয়েছে। আবার প্রশ্ন উঠেছে, যেহেতু এবারের প্রশ্নপত্র কঠিন ছিল তাতে কোচিং সেন্টার যারা চালান তাদের পক্ষে বা বিশেষজ্ঞদের পক্ষে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া সম্ভব হতো না। সে ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র আগেই ফাঁস হয়েছে বলে বক্তব্য অনেকের।