Coochbehar News: পদ্ম ফুটল গ্রেটার নেতার ঘরে, বংশীবদন বর্মনের দাদা যোগ দিলেন বিজেপিতে

বংশীবদন বর্মন। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মনের দাদা সুদর্শন বর্মন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বাসভবনে ভেটাগুড়িতে তাঁর হাত থেকে তিনি বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন।

এর আগে গ্রেটারের অপর গোষ্ঠীর নেতা অনন্ত মহারাজ বিজেপির টিকিটেই রাজ্যসভায় গিয়েছেন। এবার গ্রেটারের অপর গোষ্ঠীর কর্ণধার বংশীবদন বর্মন সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলেও তাঁর দাদা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন।

এদিকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে কোচবিহার জুড়ে আন্দোলনের অন্যতম নেতা হলেন এই বংশীবদন বর্মন। বিগতদিনে একাধিকবার তিনি জেলও খেটেছেন। পরবর্তী সময় তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। বংশীবদন বর্মনকে রাজবংশী ভাষা আকাদেমির চেয়ারম্যান ও রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও সম্প্রতি কিছুটা বেসুরো গাইছিলেন বংশীবদন। তবে এবার একেবারে বংশীবদনের পরিবারে পদ্ম ফুটল। বংশীবদন বর্মনের দাদা সুদর্শন বর্মন বিজেপিতে যোগ দেন।

এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে রাজবংশী ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে অত্যন্ত সুকৌশলে পা বাড়াচ্ছে বিজেপি। একদিকে অনন্ত মহারাজকে রাজ্য সভার সদস্যপদ দিয়ে বড় চাল দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এবার গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনের দাদাকে বিজেপিতে নিয়ে কৌশলী পদক্ষেপ নিল গেরুয়া শিবির।

তবে প্রতিবারই রাজবংশী ভোটকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্য়ে দড়ি টানাটানি চলে পুরোদমে। সুদর্শনের দাবি, আমি একসময় কংগ্রেস করতাম। এখন মনে হচ্ছে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে একমাত্র বিজেপি। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে একই ভাষার জন্য দুটি আকাদেমি তৈরি করেছেন সেটা তিনি একেবারেই মানতে পারেননি। সেকারণেই তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বেন।

তবে গোটা ঘটনায় গ্রেটারের অন্দরে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরেও। তবে বংশীবদনের পরিবারের অন্য সদস্যরা অবশ্য় এর আগে সরাসরি রাজনীতি করতেন না। তবে এবার বংশীবদন বর্মনের দাদা বিজেপিতে যোগ দিলেন। বংশীবদন বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতেই পারেন। সৌগত রায় তৃণমূলে আর তথাগত রায় বিজেপিতে। এমনটাই তো হয়েই থাকে।