হুগলির বলাগড়ে তৃণমূল কর্মীর হাতে যৌন নিগৃহের শিকার নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে নাবালিকার মা ও এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর পর দোষী যুবকের গ্রেফতারির দাবি তোলেন তিনি।
গত ২৫ ডিসেম্বর বলাগড়ের শেরপুর এলাকায় তেরো বছরের এক নাবালিকাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে। শেরপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অভিযুক্ত দেবাশিস বিশ্বাস নাবালিকাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে একটি নির্মিয়মান ঘরে যৌন নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। নারায়ণ দাস নামে নাবালিকার এক প্রতিবেশী যুবক তা দেখে ফেলে এবং দেবাশিসকে বিরত করার চেষ্টা করে। ঘটনা কাউকে জানালে ফল ভালো হবে না বলে নারায়ণকে হুমকি দেয় অভিযুক্ত।বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযুক্তর বাড়িতে চড়াও হয় নাবালিকার পাড়ার বাসিন্দারা । ভাঙচুর করা হয় দুটি বাড়িতে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত।
অবশেষে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে স্থানীয় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বলেন, একটা তেরো বছরের মেয়েকে ধর্ষন করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে।অপরাধীকে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্যদিকে হুগলি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১৩ বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযুক্ত দেবাশিসের বিশ্বাস এখনো পলাতক। এমনকি তার বাবারও কোনও সন্ধান নেই। ওর বাবাও প্রতিবেশী মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযুক্ত।
তিনি এও বলেন, ওই নাবালিকা কাছে গিয়ে কথা বলে এসেছি। নাবালিকার মা কান্নাকাটি করছে এমনকী মেয়েটি ট্রমায় রয়েছে। পুলিশ বলছে তাদেরকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ারে নিয়ে যেতে হবে। তাদেরকে প্রডিউস করতে হবে। যারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে, যার মা কান্নাকাটি করছে যে মেয়েটি ট্রমায় রয়েছে, ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না, তার সেই দৃশ্য মনে পড়ছে সেই গরিব পরিবারে মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার এতো তাড় কীসের? রাজ্য সরকারের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির শিশুদের প্রতি এতটাই উদারতা থাকে তাহলে ওদের এখানে এসে ভিজিট করা উচিত। ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে না। পুলিশ এখানে এসে বসে আছে। গ্রামের মানুষ বলছে যে দোষী তাকে ও তার বাবাকে ধরতে হবে।