এবার আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে একই পরিবারের তিনজ রহস্যমৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ১৮ বছর বয়সি মেয়েকে নিয়ে দম্পতি থাকতেন। সেই বাড়িতেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা এই ঘটনাকে গার্হস্থ্য হিংসা বলে উল্লেখ করেছেন। মৃত তিনজনের নাম টিনা কমল( ৫৪), আরিয়ানা কমল (১৮) ও রাকেশ কমল, বয়স ৫৭ বছর।
ওই পরিবারের এক আত্মীয় ৯১১তে ফোন করেছিলেন। তারপরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
তবে এটা খুন করে আত্মহত্যার ঘটনা কি না সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট বলছে, এনিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কীভাবে তাদের মৃত্যু হল। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠছে। রাকেশ কমলের বয়স ৫৭ বছর। বেশ সম্পদশালী মানুষ হিসাবেই তিনি পরিচিত। গত ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয়েছে তার। রেডফিনে বেশ বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে বাস করতেন তিনি। তাকে রিক কমল বলেও ডাকা হত। ওই পরিবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ৪১ কোটির বাসভবনে থাকতেন তিনি। সেই ভবনে ছিল ২৭ বেডরুম। এডুনোভা নামে একটি কোম্পানি চালাতেন তারা। মৃত স্বামীর পাশে একটি বন্দুক মিলেছে বলে খবর।
তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার পেছনে গৃহস্থালী হিংসার ঘটনা রয়েছে।
এদিকে কিছুদিন আগেই ৩৩ বছর বয়সি এক ফরাসি ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ও চার সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সেই খুনের কথা স্বীকার করেছিলেন বলে খবর। তিনি নাকি অলৌকিক সব নির্দেশ পেয়েছিলেন যে ওদের ক্ষতি করতে হবে। এরপরই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার বাচ্চাদের বয়স ৯ মাস, চার বছর, সাত বছর ও ১০ বছরের। তার আগে থেকেই মানসিক কিছু সমস্য়া ছিল বলে অভিযোগ।
প্যারিসের পূর্ব দিকে একটি জায়গা থেকে তাদের দেহ মিলেছে। পাড়া প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরেই পুলিশের কাছে খবর দেয়। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির কলের মিস্ত্রির প্রশিক্ষণ রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে তাকে পুলিশ আটক করেছিল। সেই সময় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সেই সময় তার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। সেই অবস্থায় সে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, সেই ২০১৭ সাল থেকে ওই ব্যক্তি মানসিক নানা সমস্যায় ভুগছে। সূত্রের খবর,সে বার বার তার স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে বলে খবর। মেয়েদেরও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ফ্ল্যাট রক্তে ভেসে যায়। তারপরেও ছাড়েনি সে। তবে ছেলেদের শরীরে কোনও আঘাতের দাগ নেই। মনে করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে।