‘‌মমতা রামকৃষ্ণ, অভিষেক বিবেকানন্দ’‌, বর্ষশেষে নতুন আখ্যান কুণাল ঘোষের

কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সান্তা ক্লজ আখ্যা দিয়েছিলেন। কারণ সারাবছর নানা সামাজিক প্রকল্প দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে থাকেন। আবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বর্ধমান থেকে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী। কারণ তিনি সবাইকে নিয়ে চলতে বলেন। ভেদাভেদের রাজনীতি করেন না। ধর্মীয় বিভাজন মানেন না। তাই তাঁকে এভাবে দেখা যেতে পারে। এবার মমতা–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নতুন আখ্যান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

এখন নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কাজকর্ম নিয়ে বেজায় চটেছেন। আর তাই লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবার ছাড়া অন্য কোথাও প্রচারে যাবেন না বলে সূত্রের খবর। যদিও এমন কোনও তথ্য নিজে থেকে জানাননি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বর্ষশেষেও আলোচনা হয়েই চলেছে। রাজ্য–রাজনীতিতে হঠাৎ করেই এমন নানা বিষয় উঠে আসতে শুরু করেছে। তার মধ্যে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে এখন সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সেখানে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট কোন পর্যায়ে আছে, তা জানতে চায় মানুষজন। তবে এই বিষয়টি নিয়েও মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ।

ঠিক কী বলেছেন কুণাল?‌ মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুণাল ঘোষ যা বলেছেন তাতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কুণালের কথায়, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছেন রামকৃষ্ণ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছেন বিবেকানন্দ। রামকৃষ্ণের অনেক ভক্ত ছিলেন। কিন্তু মানুষ বিবেকানন্দের মুখ দিয়ে রামকৃষ্ণের কথা শুনতে চেয়েছিলেন। সেই ভাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা মানুষ অভিষেকের মুখ থেকে শুনতে চায়।’‌ নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যেই এমন আখ্যান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ রাত পোহালেই নতুন বছর। দক্ষিণেশ্বরে হবে কল্পতরু উৎসব। আর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। তাই দুটোকে মিলিয়ে দিলেন কুণাল।

আরও পড়ুন:‌ এবার বিদেশেও পৌঁছেছে রামের মহিমা বার্তা, রামমন্দির উদ্বোধনের আগে বড় কর্মসূচি

আর জোট রাজনীতি নিয়ে অধীর চৌধুরী যতই সওয়াল করুন, কুণাল ঘোষ খেলে দিলেন অন্য মাত্রায়। তিনি বলেন, ‘‌নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে নতুন কোনও আপডেট নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি দেখছেন। তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি উপযুক্ত সময়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। দিল্লির কংগ্রেস ও বাংলার কংগ্রেসের সঙ্গে অবস্থানের পার্থক্য আছে। তৃণমূলের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী চাইছেন। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস বিজেপির দালালের কাজ করছে। ২০২১ সালে কংগ্রেস এই রাজ্যে শূন্য পেয়েছে। বাংলায় কংগ্রেসের কোনও গুরুত্ব নেই। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলছেন এবং যথাযথ সময়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।’‌