Threat Call: একের পর বিস্ফোরণে উড়ে যাবে মুম্বই, হুমকি ফোন এল পুলিশের কাছে, শুরু তল্লাশি

শনিবার সন্ধ্য়ায় আচমকাই একটা ফোন আসে মুম্বই পুলিশের কাছে। এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ওই ফোন করে বলে অভিযোগ। সেখানে বলা হয়, শহরে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। এরপরই সতর্ক হয়ে যায় মুম্বই পুলিশ।  একের পর এক জায়গায় তল্লাশি চলতে থাকে। কিন্তু সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। 

নিউজ এজেন্সি এএনআই সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ মুম্বইয়ের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটা ফোন আসে। সেখানে বলা হয়, মুম্বইতে সিরিয়াল ব্লাস্ট হবে। এরপরই সতর্ক হয়ে যায় মুম্বই পুলিশ।

একের পর এক পাবলিক প্লেসে তল্লাশি চালানো হয়। তবে কোথাও কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর পেছনে কারা রয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

এদিকে কিছুদিন আগে মুম্বইতে ঠিক এই ধরনেরই থ্রেট কল এসেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ১১টা জায়গায় বোমা রাখা হয়েছে। এরপর মুম্বই পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ভুয়ো কল করার অভিযোগে গুজরাটের ভাদোদারা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে। 

এর আগে ফোনে শিল্পপতি রতন টাটার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ৩৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি মুম্বইয়ের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করেছিলেন বলে খবর। ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাকে ইতিমধ্য়েই চিহ্নিত করতে পেরেছে বলে খবর।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এমবিএ পাশ করেছিলেন। কিন্তু তিনি মানসিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। সম্প্রতি এই ফোন করা হয়েছিল বলে খবর। তিনি ফোন করে বলেছিলেন, রতন টাটার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিন। না হলে সাইরাস মিস্ত্রির মতো দশা হবে রতন টাটারও। প্রসঙ্গত গত বছর দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। সেই সাইরাসের পরিণতির কথা বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি।

পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। পুলিশ শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারে ফোনটি কর্ণাটক থেকে এসেছিল। পুলিশ খবর পায় ওই ব্যক্তি পুনে থেকে এসেছিল। সে সিজোফ্রেনিয়াতে ভুগছে। তার পরিবার জানিয়েছিল, ওই যুবককে গত পাঁচদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছিল না।

ফের মুম্বই পুলিশের কাছে এল হুমকি ফোন।