নতুন বছরে চ্যালেঞ্জ আরও বাড়ছে জামাল-মোরসালিনদের

বাংলাদেশ দলের সবশেষ কবে এত ভালো সময় কেটেছে, তা স্মৃতি হাতড়ে বের করা কঠিন। ২০২৩ ছিল তেমনই এক বছর। সদ্য শেষ হওয়া বছরে জামাল ভূঁইয়ারা ২০০৯ সালের পর প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। শুধু তাই নয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শক্তিশালী লেবাননের বিপক্ষে ড্র করে সবাইকে অবাক করে দেয়। আজ থেকে শুরু হওয়া নতুন বছর ২০২৪ এ চ্যালেঞ্জ আরও বাড়ছে।

এই বছরে আগের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা ছাড়াও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে যথাসম্ভব ওপরের দিকে থাকার কঠিন পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে জামাল-রাকিবদের। আসছে মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পরীক্ষার শুরু। ধারাবাহিকতায় লেবানন ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ তো আছেই। ঘরের মাঠে কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে জামালদের নতুন করে অভিজ্ঞতা নেওয়ার অপেক্ষা। এছাড়া প্রীতি ম্যাচ তো রয়েছেই।

বাছাইপর্ব পেরিয়ে পরের ধাপে পৌঁছানো কঠিন, তা মানছেন লাল-সবুজ দলের অধিনায়ক জামাল। তবে বাংলা ট্রিবিউনকে আশার কথা শোনাতে ভুলে যাননি, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরের ধাপে জায়গা করে নেওয়া। এর মধ্যে দুটি ম্যাচ আছে নিজেদের মাঠে। তাহলে আমাদের র‌্যাঙ্কিং আরও বাড়বে। কঠিন হবে কাজটি। আমরা প্রস্তুত।’

জামালদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। দুই বছর ধরে দায়িত্ব পালন করা তিনি ২০২৩ সালে দারুণ ফল করে দেখিয়েছেন। ৩৯ বছর বয়সী কোচের কোচিংয়ে সব মিলিয়ে ২১ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয় ও ড্র সমান ৬টি করে, হার ৯টি। এর মধ্যে ২০২৩ সালে ১৩টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে ৫টি জয়ের বিপরীতে চার হার। এছাড়াও রয়েছে চারটি ড্র। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০৯ সালের পর সেমিফাইনাল কিংবা প্রীতি ম্যাচে আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে ড্র হয়েছে। এছাড়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে লেবাননের বিপক্ষে ড্রও কম সাফল্য নয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯২ থেকে ১৮৩-তে উঠে এসেছে। এটাও কম ইতিবাচক দিক নয়। কাবরেরা আগেই বলেছেন ২০২৩ সালে সাফল্য যা পেয়েছেন তা অব্যাহত রাখাই লক্ষ্য। আপাতত কোচ ছুটিতে স্পেনে রয়েছেন। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এসে নতুন করে পরিকল্পনা করে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষা।

গত বছরে দেশের ফুটবলে নতুন আবিষ্কার শেখ মোরসালিন। ১৯ বছর বয়সী উদীয়মান তারকা চাইছেন নতুন বছরেও পারফরম্যান্স দেখিয়ে সাফল্য পেতে, ‘নতুন বছরে দলকে সাফল্য পেতে দিতে চাই। যেন জাতীয় দল সাফল্য পায় আগের বছরের মতোই। আর আমার নিজের কথা বলতে গেলে ভালো খেলার পাশাপাশি গোলও চাই। তবে সবার আগে দল জিততে পারলে ভালো লাগবে।’

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দুই তারকা আনিসুর রহমান জিকো ও তপু বর্মণ খেলতে পারেননি। নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে দুজন লাল-সবুজ দলে ঢোকার অপেক্ষায়। এতে করে দল যে আরও শক্তিশালী হবে তা নিঃসন্দেহে বলার অপেক্ষা রাখে না। ৪-৪-২ ছকে খেলে ৯০ মিনিট খেলার একই ছন্দে থাকা কাবরেরার দল নতুন বছরে কী চমক দেয় তা দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা।