সৌরঝড়ে বড় বিপদ হতে পারে বিশ্বের! বাঁচার কায়দা খুঁজে পেলেন কলকাতার ৩ গবেষক

সূর্য থেকে বেরিয়ে আসা তড়িদাহত কণার স্রোতকে সৌরঝড় বলা হয়। এই নিয়ে গবেষণা নতুন বিষয় নয়। ভারতের সৌরযান ‘আদিত্য এল১’-এর লক্ষ্যও সৌরঝড়ের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা । এবার এই ব্যাপারেই গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন এক দিশা দেখালেন কলকাতার তিন বিজ্ঞানী। ঘটনাচক্রে তিনজনেই বর্তমানে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্টিফিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইজার)-এ কর্মরত। 

(আরও পড়ুন: মন চাইলেই আইসিইউ নয়! বেডের অপব্যবহার রুখতে গাইডলাইন কেন্দ্রের)

  • কলকাতার কারা কারা?

সৌরকলঙ্ক এবং সৌরঝড়ের মধ্যের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা। যা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘মান্থলি নোটিস অব দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’-তে । সেই গবেষণায় সৌরকলঙ্ক এবং সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে একটি নতুন সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন প্রিয়াংশ জসওয়াল, চিত্রদীপ সাহা এবং অধ্যাপক দিব্যেন্দু নন্দী । প্রসঙ্গত, এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেই সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া যেতে পারে।

  • কীভাবে মিলবে পূর্বাভাস

আদতে উত্তপ্ত আয়নিত গ্যাস বা প্লাজমা দিয়ে সূর্য তৈরি। এই প্লাজ়মা প্রবাহগুলির ভিতর বিরাট বিরাট চৌম্বকক্ষেত্র থাকে। সেগুলির এক-একটির আকার পৃথিবীর মতো‌। তবে তাদের চৌম্বকশক্তি পৃথিবীর তুলনায় ১০ হাজার গুণ বেশি। ১১ বছরের একটি পর্যায় ধরে চলে এই সৌরকলঙ্কগুলি। এগুলির মধ্যে একটি শীর্ষ পর্যায় থাকে যখন সূর্যের মধ্যে সব থেকে বেশি আলোড়ন শুরু হয়। এই ১১ বছরের হিসাবগুলিকে এক-একটি সৌর পর্যায় বা সোলার সাইকেল বলে।

(আরও পড়ুন: লকার চুক্তির শেষ তারিখ অতিক্রান্ত, এখনও সই করেননি ১০-২০ শতাংশ!)

এখন যে সৌর পর্যায়টি (সোলার সাইকেল ২৫) চলছে সেটি শীর্ষে পৌঁছবে আগামী বছরে। আইজ়ার-এর গবেষকদের ইঙ্গিত, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, ১৯৩৫ সালে সৌরকলঙ্ক এবং সৌরপর্যায়ের শীর্ষ পর্যায়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করে সুইস জ্যোতির্বিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়াল্ডেমেয়ার একটি গবেষণা করেছিলেন। সেই কাজকে কলকাতার তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা আরও বিস্তৃত করেছে।

  • কী ক্ষতি করে সৌরঝড়

পৃথিবীর ক্ষেত্রে সৌরঝড় বিষয়টি বিরাট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সূর্য থেকে মহাকাশে প্রবল পরিমাণে তড়িদাহত বা আয়নিত কণাস্রোত ছড়িয়ে পড়লে তা বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহগুলির ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি বিদ্যুতের গ্রিড বা টেলিকম ব্যবস্থারও ক্ষতি করতে পারে। সে দিক থেকে কোন সময়ে সৌরঝড় তৈরি হতে পারে তার পূর্বাভাস দিতে পারলে বিপদ এড়ানো যেতে পারে।