Kolaghat Calling: কলেজের পড়া ছেড়ে ৪ কোটির ফুলের ব্যবসা, জানুন বাংলার যুবকের রূপকথার জার্নি

অরূপ কুমার ঘোষ। সবাই হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন তাঁর দ্বারা আর কী হবে! কিন্তু মাঝপথে কলেজ ছেড়ে দেওয়া সেই অরূপই এখন ৪ কোটির ব্যবসা করছেন। জেনে নিন তিনি কীভাবে ফুল ব্যবসাতে এই বিরাট জায়গায় চলে এলেন?

কোলাঘাটের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই তিনি ফুলচাষ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু একটা সময় পরে তাঁর মনে হতে থাকে ফুল চাষে চাষিদের মধ্য়ে কোনও দিশা নেই। নতুন করে কোনও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে না। তিনি কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করতেন। ২০১০ সালে তিনি সেকেন্ড ইয়ার থেকে পড়া ছেড়ে দেন।

30 Stades-এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অরূপ জানিয়েছেন, সেকেন্ড ইয়ারে পড়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। বেশিরভাগই পড়াশোনা করেন চাকরি পাওয়ার জন্য, কিন্তু ৯টা-৫টার রুটিনে আমার কোনও আগ্রহ ছিল না। 

এদিকে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পরে অন্য় কিছু করার কথা ভাবতে থাকেন তিনি। পরিবারের কিছু জমি রয়েছে। সেখানে ধান চাষ হত। কিন্তু কঠীন পরিশ্রম করেও বিরাট আয় হত এমনটা নয়।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন ফুলের চাষ করব। এরপরই শুরু হল তাঁর স্বপ্নের পথে যাত্রা। প্রথমে তিনি  হায়দরাবাদের গুড়িমালকাপুর ফুলের বাজারে ঘুরে এলেন। এমনকী ব্যবসা বোঝার জন্য তিনি হায়দরাবাদের একটা দোকানে কাজও নিয়ে নেন। এরপর বুঝতে পারেন কোলাঘাট থেকেই হায়দরাবাদের ওই মার্কেটে গাঁদা ফুল, গোলাপ ফুল আসে। হায়দরাবাদে মাসে ৩৫০০ টাকার কাজ করা শুরু করেন তিনি। কিন্তু আসল লক্ষ্য হল ব্যবসাটা বোঝা।

এরপর তিনমাস বাদে তিনি ফিরে এলেন গ্রামে। কিন্তু তখন হায়দরাবাদের মালিক তাকে ৬০,০০০ টাকা বেতন দিতেও রাজি। কিন্তু তিনি আর ফেরেননি হায়দরাবাদে। এরপর কোলাঘাট থেকে ফুল নিয়ে তিনি পাঠাতে শুরু করেন হায়দরাবাদে। অরূপ জানিয়েছেন,  ১০০টি গাঁদা ফুলের গোছা থেকে ২০০০-৩০০০ টাকা করে লাভ করা শুরু করি। 

তিনি বলেন, সবসময় যে লাভ হয়েছে এমনটা নয়, স্থানীয় এলাকা থেকে গাঁদাচারা কিনে ক্ষতির মুখেও পড়েছি। এরপর তিনি থাইল্যান্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে গিয়ে ফুল চাষের নানা দিক সম্পর্কে জানলাম। ২৫ গ্রাম গাঁদা বীজও নিয়ে এসেছিলাম। এরপর ১ বিঘাতে চাষ করা শুরু করলাম। সেই শুরু। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।