Oyo Booking on New Year: OYO রুম বুকিংয়ে পয়লা জানুয়ারি গোয়াকে পিছনে ফেলল অযোধ্যা! নিউ ইয়ারে কত বুকিং এল?

এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়! ব্লিনকিট সবেই কাল জানাল যে ২০২৩ এ তাদের থেকে এক ব্যক্তি গোটা বছরে ৯ হাজারের বেশি কন্ডোম কিনেছেন। তারপর দিনই, অর্থাৎ ২০২৪ এর প্রথমদিনই OYO -তে রেকর্ড সংখ্যক রুম বুক করা হয়েছে। এদিনের জন্য গোটা দেশ এবং বিদেশ জুড়ে মোট ৬ লাখের বেশি বুকিং এসেছে যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

OYO সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন পয়লা জানুয়ারি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে রুম বুক করার সংখ্যা, সে দেশে হোক বা বিদেশে। তিনি এই বিষয়ে তথ্য জানিয়ে এক্স অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে লেখেন, ‘বছরের শেষমুহূর্তের পরিকল্পনা ট্যুরিজমের দুনিয়াকে পরিচালিত করছে গোটা পৃথিবী জুড়ে। এ বছর আমার দেশ এবং বিদেশ মিলিয়ে ২৩০ হাজারের বেশি শেষ মুহূর্তের বুকিং পেয়েছি ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।’

আরও পড়ুন: দেশ-দেশান্তরের কাঁটাতার পেরিয়ে আফ্রিকান যুবকের কণ্ঠে বাউল গান! ঝরঝরে বাংলায় গাইলেন কোন গান?

আরও পড়ুন: ভাইরাল রসগোল্লার চা দেখে মাথায় হাত সবার! সাধের পানীয়র জন্য ন্যায় বিচার দাবি নেটপাড়ার

একই সঙ্গে তিনি এই পোস্টে জানান যে ১ জানুয়ারি ৬ লাখ ২০ হাজারের হোটেল বুকিং হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২ লাখ বেশি। শতাংশের হারেও বৃদ্ধি পেয়েছে রুমের বুকিং।

তবে চমকপ্রদ হল যে তথ্য একটা সময় গোয়া, দিল্লি, মানালি বা অন্যান্য শহর যেখানে রুম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকত সেখানে এবার অন্য এক শহর এগিয়ে রয়েছে। কোন শহর? অযোধ্যা। ৭০ শতাংশ হোটেল রুমের বুকিং হয়েছে অযোধ্যা থেকেই। তারপরই আছে নৈনিতাল। সেখান থেকে ৬০ শতাংশ বুকিং এসেছে। গোয়া থেকে ৫০ শতাংশ হোটেল রুম বুকিং এসছেন। এখান থেকে তিনি দাবি করেছেন যে আগামী দিনে শৈলশহর বা অন্য কোনও বেড়াতে যাওয়ার জায়গার থেকে ধর্মীয় স্থানে বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে। ধর্মীয় স্থানগুলো যে ভারতীয়দের পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে সেটাও তিনি তাঁর লেখায় দাবি করেন। তবে এই বুকিং যে রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন এটিকে ঘিরে মানুষের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা এবং আগ্রহ রয়েছে।