Bogtui case: বগটুইয়ের কাণ্ডে আরেক অভিযুক্তের মৃত্যু, মারা গেল ভাদু শেখ খুনে অভিযুক্ত ছোট লালন

মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হল বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কামরুল শেখ ওরফে ছোট লালন। বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভাদু শেখের খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেলা হেফাজতে থাকার সময় থেকেই তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে রাখা হয়। তারপর তাঁকে বাড়িতে আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতেই মারা যান ছোট লালন। 

এর আগে রহস্য মৃত্যু হয় বগটুই কাণ্ডে অভিযুক্ত লালন শেখের। এবার মৃত্যু হল আরেক অভিযুক্ত ছোটা লালনের।

প্রসঙ্গত, গত ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুড় মোড়ে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। বোমা মেরে ও গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়। এর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়  ১০ জনের।

(পড়ুন। কামদুনি শুনানি আপাতত স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে, সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ)

ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। গ্রেফতার করা হয় কামরুল শেখ ওরফে ছোট লালনকে। সেই সময় থেকে সে জেল হেফাজতে ছিল। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তার মুখে ক্যানসার ধরা পড়ে।

ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য মাসদুয়েক আগে তাকে জামিনে মুক্তি পায় ছোট লালন। কলকাতার একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। গত তিন-চারদিন আগে কিছুটা সুস্থ্য হওয়া তাকে রামপুরহাটের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকালে ছোট লালনের মৃত্যু হয় বলে তাঁর পরিজনেরা জানিয়েছেন। শুধু ভাদু শেখ নয়, তাঁর দাদা বাবর শেখ খুনেও অভিযুক্ত ছিল কামরুল ওরফে ছোট লালন।

অন্যদিকে ঘটনার মাস কয়েক পর এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল লালনকে। সেখানেই তাঁর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়। ঘটনাচক্রে বগটুই কাণ্ডে অন্যতম দুই অভিযুক্তের মৃত্যু হল।