Head Teachers Appointment: আবারও দুর্নীতির অভিযোগ বঙ্গে, এবার প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলায় পরপর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মামলার পর মামলা হয়েছে হাই কোর্টে। তদন্তে নেমেছে সিবিআই থেকে ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই সব মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতাকে জেলেও যেতে হয়েছে। আর এই সবের মাঝে এবার আরও একটি ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠে এল। উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলায় একাধিক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা পড়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট স্কুলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কাজ চালানো হচ্ছিল। এবার সম্প্রতি স্কুলে স্কুলে প্রধান শিক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে সেই এই ক্ষেত্রে এবার অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। (আরও পড়ুন: ‘প্রস্তাব দিয়েছিলাম ২০০৬-এ…’, ইসরোর ব্ল্যাকহোল অভিযানের অন্যতম ‘মাথা’ এই বাঙালি)

অভিযোগ উঠেছে, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও বহু ক্ষেত্রেই তা হয়নি। এই নিয়ে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা বিকাশ নস্কর সংবাদমাধ্যমকে নির্দিষ্ট ভাবে জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক স্কুলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করে অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক নিয়ে এসে প্রধান শিক্ষক করা হয়েছিল। যা নিয়ে সেই স্কুলে বিক্ষোভ প্রদর্শনও হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অস্বচ্ছতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। তাদের বক্তব্য, প্রধান শিক্ষকের আসনে বসতে ইচ্ছুক সব শিক্ষকই আবেদন জমা দিয়েছিলেন। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষককে এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল স্কুলে স্কুলে।

এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছাড়াও এই ধরনের ঘটনা নাকি বাংলার বিভিন্ন জেলার একাধিক স্কুলে ঘটেছে বলে অভিযোগ। বিগত বহু বছর ধরে যে শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে এসেছেন, তাঁকে প্রধান শিক্ষক করা হয়নি। এই আবহে অভিযোগ উঠছে, শাসক দলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের পদে বসানো হচ্ছে বিভিন্ন স্কুলে। এদিকে এই নিয়োগের আগে কাউন্সেলিং করার কথা বলেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে অভিযোগ, সেই কাউন্সেলিংও নাকি হয়নি সব ক্ষেত্রে। তবে এই নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অজিত কুমার নায়ে দাবি করেন, জেলার ২৯৯৪টি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিলেন না। সম্প্রতি সেই সব পদে নিয়োগ হয়েছে। কোনও গোপনীয়তা এতে নেই। এদিকে এই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বক্তব্য, বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদই করছে।