Lt General Rana Pratap Kalita: চার দশক পরে তুলে রাখলাম ইউনিফর্মটা, অনেকের অনুপ্রেরণা লেফটেনান্ট জেনারেল কলিতা

ভারতীয় সেনার অত্যন্ত দক্ষ অফিসার বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। অসমের ভূমিপুত্র। লেফটেনান্ট জেনারেল রানা প্রতাপ কলিতা। সুঠাম চেহারা। অত্য়ন্ত নিয়মনিষ্ঠ অফিসার। আর্মির ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার ছিলেন তিনি। রবিবার অবসর নিয়েছেন তিনি। প্রায় চার দশক ধরে তিনি সেনাবাহিনীতে থেকে দেশ সেবায় অংশ নিয়েছিলেন। অবশেষে এবার অবসরের পালা। তবে শিকড়ের টানে তিনি অসমেই ফিরে আসছেন। গোটা চাকরিজীবনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকেছেন। তবে এবার থিতু হতে চান অসমেই।

একেবারে রূপকথার মতো তাঁর জীবন। অসমের তমালপুরে এক হেডস্যারের সন্তান ছিলেন তিনি। সেখান থেকে তিনি সেনার কমান্ডারের স্থানে যান। তাঁর এই জার্নি নিঃসন্দেহে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার হবে। দীর্ঘ পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি এত বড় মর্যাদার আসনে গিয়েছিলেন। 

১৯৮৪ সালের ৯ জুন তিনি ইন্ডিয়ান মিলিটারি আকাদেমি দেরাদুন থেকে পাশ করে তিনি সেনাতে যোগ দিয়েছিলেন। ছোটবেলায় পড়েছিলেন গোয়ালপাড়ার সৈনিক স্কুলে। পরে ন্য়াশানাল ডিফেন্স আকাদেমিতে যান। তিনি হলেন প্রথম অসমিয়া অফিসার যিনি কর্পস কমান্ডারের স্থানে গিয়েছিলেন। 

আর্মির ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার হওয়ার আগে একাধিক সিঁড়ি পার হতে হয়েছিল তাঁকে। মিলিটারি সেক্রেটারি ব্রাঞ্চ, অপারেশনাল লজিস্টিক ডাইরেক্টরেট সহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি কর্মরত ছিলেন। 

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, লেফটেনান্ট জেনারেল কলিতা জানিয়েছেন, চার দশক ধরে এই জলপাই ইউনিফর্ম পরে কাটিয়েছি। আজ সেটা তুলে রাখলাম। বহু সম্মান ও প্রাপ্তি হয়েছে। মহান ভারতীয় সেনাতে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য় আমি ভগবানের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি বাবা মা ও শিক্ষকদের কাছে ধন্য়বাদ জানাচ্ছি যারা আমার মধ্যে সততা, ও অধ্যাবসায় দিয়েছিলেন। আমি আমার সমস্ত সহকর্মী, উর্ধতন ও অধস্তনদের কাছে কৃতজ্ঞ, তাঁদের ছাড়া আমি আর্মি কমান্ডারের পদে উন্নীত হতে পারতাম না। 

তিনি জানিয়েছেন এবার থেকে গুয়াহাটিতেই থাকব। এবার জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে  পা দিলাম।