Truck Strike Latest Update: ‘আপনারা কাজে ফিরুন,’ ধর্মঘটী ট্রাক চালকদের কাছে আবেদন সরকারের, জট কাটছে বৈঠকে

ট্রাক ধর্মঘট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে মিটিং ফলপ্রসূ হয়েছে বলে খবর। অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের নেতারা এই মিটিংয়ে ছিলেন। সরকার ও অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস সমস্ত গাড়ি চালকদের কাছে অনুরোধ করেছেন,আপনারা কাজে ফিরে যান। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, এই নতুন আইন এখনই কার্যকরী হচ্ছে না। যদি বিএনএসের ১০৬(২) ধারা নিয়ে কোনও আপত্তি বা উদ্বেগের জায়গা থেকে থাকে সরকার একেবারে খোলা মনে সেটা বিচার বিবেচনা করবে।

তবে শেষ পর্যন্ত এই আবেদনে কাজ কতটা হয় সেটাই দেখার। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট অ্য়াসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সরকার বলতে চাইছে নতুন আইন এখনও প্রয়োগ করা হয়নি। এই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ১০৬(২) প্রয়োগ করার আগে আমরা অল ইন্ডিয়া মোটর কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করব। তারপরই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে গোটা দেশ জুড়ে ট্রাক ধর্মঘটের জেরে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বহু জায়গায় পেট্রল পাম্প একেবারে ড্রাই হয়ে যায়। কারণ ট্যাঙ্কারগুলি তেল নিয়ে আসেনি। মূলত ছোট শহর, পাহাড়ি এলাকার উপর প্রভাব পড়ে। মূলত গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে কড়া আইন আনা হচ্ছে। এতে গাড়ি চালকদের দশ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এই আইনের প্রয়োগের আগেই এনিয়ে তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছেন ট্রাকচালকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, আমাদের দুদিকে বিপদ। দুর্ঘটনার পরে যদি আমরা ওখানেই থাকি তবে বড় বিপদ হয়ে যাবে। আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলবে। আবার পালিয়ে গেলে কঠোর সাজা। আমরা কোনদিকে যাব?

এদিকে ট্রাক ধর্মঘটের জেরে বহু পেট্রল পাম্প তেল শূন্য হয়ে যায়। এর জেরে অন্য়ান্য গাড়ি চালকরাও সমস্যায় পড়েন। হাইওয়ের পাশে সারি দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়়ে। পঞ্জাব, হরিয়ানায় সমস্যা সবথেকে বেশি। কারণ সেখানে গাড়ি চালকরা অয়েল ট্যাঙ্কারগুলিকে আটকে দেন। এর জেরে অনেকে আবার পাম্প থেকে অতিরিক্ত তেল কিনে মজুত করা শুরু করে দিয়েছিলেন।