Bangladesh Election 2024: নিবার্চন শান্তিপূর্ণ করতে বুধবার থেকে বাংলাদেশে নামল সেনা

৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন। এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করতে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে থাকছে সেনাবাহিনীও। বুধবার থেকে সেনাবাহিনী নেমে পড়েছে। তারা থাকবে নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করবে সেনা।

বাহিনী কী ভাবে কাজ করবে তা নিবার্চন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি এবং অন্যান্য বিধি মেনে কাজ করবে সেনাবাহিনী।  প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে বাহিনী মোতায়েন করা হবে। অর্থাৎ নির্বাচননে পুলিশ, আনসার, র‍্যাব, বিজিবি’র মতো বাহিনীগুলোর সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী। কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার করার জন্য সেনাবাহিনীকে আনা হয়েছে। 

কী ভাবে কাজ করবে সেনা?

নিবার্চন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, রির্টানিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শ করে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে কাজ করবে। 

তিনি বলেন, ‘ সেনাবাহিনী নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে অবস্থান করবে। কোনও ধরনের অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে তারা ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী তারা কাজ করবে’।

তিনি আরও জানিয়েছেন, কোন আসনের কোথায় এবং কতগুলো ‘নোডাল পয়েন্ট’ থাকবে, তা নির্ধারণ করবেন আসন সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন সেনাবাহিনী কোথায় অবস্থান করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্বাচনী আসনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ, অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ – এই তিন ভাগে ভাগ করেছে। ভোট কেন্দ্রে বড় ধরনের যদি কোনও অশান্তি হয়। পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসন সামাল দিতে না পারে, তখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যাবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী সেখানে পদক্ষেপ নেবে। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে তারা। 

কোথায় কত নিরাপত্তারক্ষী?

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনে প্রায় ৫ লাখ আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার পুলিশ ও ব়্যাব সদস্য, ২৩৫০ জন কোস্ট গার্ড এবং ৪৬৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছে। যদিও কতজন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩৮৮টি উপজেলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। এবার তার চেয়েও বেশি বাহিনী নিয়োগ করা হতে পারে।