Headmaster: প্রধান শিক্ষক অসুস্থ, তাঁর জায়গায় হাওড়ার স্কুল চালাচ্ছেন মেয়ে, তুমুল বিতর্ক

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তার রেশ এখনও কাটেনি। সেই আবহে হাওড়ার শ্যামপুরের একটি স্কুলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক অসুস্থ বেশ কয়েকদিন হল। সেই কারণে তিনি স্কুলে আসতে পারছেন না। কিন্তু তাঁর জায়গায় স্কুল চালাচ্ছেন তাঁর মেয়ে। স্কুল সরকারি সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও পারিবারিকভাবে স্কুলকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি হাওড়ার শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের বিনোদচক তফসিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

আরও পড়ুন: এই সময়ের মধ্য়ে স্কুলে আসতেই হবে শিক্ষকদের, না হলেই লালকালি, ফাঁকিবাজির দিন শেষ

জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম চন্দন দে। তাঁর জায়গাতেই কার্যত প্রক্সি দিচ্ছেন তাঁর মেয়ে রিয়া দে। তবে এতে অবশ্য দোষের কিছু দেখছেন না রিয়া। তবে খবর পর পর সাংবাদিকরা স্কুলে গেলেই তিনি বেজায় ক্ষেপে ওঠেন। কার্যত স্কুলে মা কাকিমাকে ডেকে নিয়ে যান রিয়া। তাঁর বক্তব্য, তার বাবার কাছে অনুমতি নিয়ে তিনি অফিসে আসছেন। তার বাবা অসুস্থ তাই তিনি স্কুলে যাচ্ছেন। গ্রামে সকলেই সে কথা জানে বলে তিনি দাবি করেন। হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ জানান, এ বিষয়ে অবর বিদ্যালয় স্কুল পরিদর্শককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলেই পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০ জন। তাতে চন্দন বাদে স্কুলে একজন পার্শ্বশিক্ষিকা রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে আসছেন না। তাঁর জায়গায় তাঁর মেয়ে এসে স্কুল পরিচালনা করছেন। এমনকী অভিভাবকরা আপত্তি জানালেও তিনি তাদের কথা শোনেন না। 

অন্যদিকে, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক চন্দনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফোনেও তাঁর মেয়ে কথা বলতে দেননি। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। এটা তার উদাহরণ। যিনি শিক্ষক তিনি স্কুলে যাচ্ছেন না। তাঁর হয়ে তাঁর মেয়ে প্রক্সি দিচ্ছেন। এর চেয়ে হাস্যকর আর হতে পারেন না। এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সিপিএমও এই ঘটনায় আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল সরকার রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল করে দিয়েছে তা মানুষ দেখুক। অন্যদিকে, তৃণমূল পরিচালিত শিক্ষক সংগঠনও এই ঘটনার নিন্দা করেছে। তাদের বক্তব্য, এটা মোটেও ঠিক নয়।