শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচতে গুজরাটে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাপ দিল ৫ ছাত্রী, গ্রেফতার ১

চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল গুজরাটে। চলন্ত পিকআপ ভ্যান থেকে লাফ দিল ৫ জন মেয়ে। তারা সকলেই স্কুল পড়ুয়া এবং তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। আসলে পিকআপ ভ্যানের চালক এবং তাতে থাকা অন্যান্যরা ওই ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তা থেকে বাঁচতেই চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দেয় ওই ছাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ছোট উদয়পুর জেলায়। এই ঘটনায় কয়েকজন ছাত্রী সামান্য আহত হয়েছে। তবে তারা গাড়ি থেকে লাফ দিতে শুরু করলে চালক সুরেশ ভীল গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং সেটি উলটে যায়।

আরও পড়ুন: মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক, গারদে মোট তিন তৃণমূল নেতা

জেলার পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ শেখ জানান, ঘটনাটি শঙ্কেদা তালুকের একটি রাস্তায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন হল ওই গাড়িটির মালিক। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানান, ভ্যানে যাওয়ার সময় চালক এবং অন্যান্যরা ছাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। তখন তারা ভ্যান থেকে লাফ দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ছাত্রীরা শঙ্কেদা তালুকের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তারা বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার জন্য ওই গাড়িতে উঠেছিল তারা। তাতে চালক ছাড়াও আগে থেকে ওই গাড়িতে আরও ৫ জন ছিল। তারা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এছাড়া তারা ছাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। তখন তারা নিজেদের বাঁচাতে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেয়। 

এদিকে, এই ঘটনায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাড়িটি উলটে যায়। এরপর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ট্রাকের মালিক অশ্বিনকে আটক ও পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় আহত মেয়েদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কার বাইরে। 

অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। পুলিশ যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা এবং ভারতীয় ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ধারায় চালক সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। পুলিশ সুপার বলেছেন, এই ঘটনার পর যে অন্য পাঁচজনকে এখনও ধরা যায়নি তাদের নাম হল সুরেশ ভিল (চালক), অর্জুন ভিল, পরেশ ভিল, সুনীল ভিল এবং শৈলেশ ভিল৷ তাদের খোঁজ চলছে।