Hawkers: হকারদের পুনর্বাসন দিতে নিউ মার্কেটের রাস্তায় ফুটপাথ চওড়া করার সিদ্ধান্ত

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ধর্মতলার এসএন ব্যানার্জি রোডে কলকাতা পুর ভবনের ১০০ মিটারের চারপাশ থেকে হকারদের সরাতে হবে। এই অবস্থায় হকাদের কোথায় সরানো হবে? তা নিয়ে পুরসভার ভেন্ডিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিউ মার্কেটের সামনের ফুটপাথে হকারদের বসানো হবে। এই সিদ্ধান্তের পরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে হকার সরাতে হবে, কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ হাইকোর্টের

জানা গিয়েছে, এর জন্য নিউ মার্কেটের রাস্তায় ফুটপাথ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভেন্ডিং কমিটি। সেখানে ওই হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে ফুটপাথ বাড়ালে যানজটের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কারণ সে ক্ষেত্রে যান চলাচলের রাস্তার পরিসর ছোট হয়ে যাবে। এতে যানবাহনের গতি কমবে রাস্তায়। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট যে সমস্ত হকারদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ওই হকাররা সেখানে রয়েছেন। তবে কলকাতা পুরসভা চাইছে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ভেন্ডিং কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে নিউ মার্কেটের রাস্তার ফুটপাথে হকারদের পুনর্বাসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত কোনও রাস্তার ফুটপাথ ৫ ফুট চওড়া না হলে তাতে হকার বসতে দেওয়া যায় না। তবে নিউমার্কেটের রাস্তার ফুটপাতের প্রস্থ মাত্র দু’ফুট। এই অবস্থায় ফুটপাথকে চওড়া করা হবে। বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল– এক্ষেত্রে ফুটপাথ না বাড়িয়ে পিচের রাস্তার উপরে যাতে হকার বসতে পারেন তার জন্য আলাদাভাবে মার্কিং করে দিতে হবে।  তাহলে আর সেই সমস্যা হবে না। তবে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। আবার টাউন ভেন্ডিং কমিটির তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, নিউমার্কেটের আশেপাশের রাস্তায় সন্ধ্যা ৫ টার পর গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হোক। এরপর সেখানে নাইট হকার চালু করা হোক। এর ফলে হকাররা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি সেই জায়গাটিও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। 

যদিও হকারদের একাংশের বক্তব্য অনেকেই রয়েছেন যারা লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছেন। কিন্তু তাদের সুবিধার কথা ভাবছে না পুরসভা। যদিও কলকাতা পুরসভার এক প্রাক্তন আধিকারিকের মতে, রাস্তার ফুটপাত বাড়িয়ে এরকমভাবে হকার সমস্যার সমাধান হবে না। এ বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বহু মানুষের রুজি জড়িয়ে রয়েছে। আবার হাইকোর্টের নির্দেশও মানতে হবে। সেই কারণে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। ভেন্ডিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।