‘‌নতুন রাজনৈতিক জীবনের জন্য আগাম শুভকামনা’‌, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে দেবাংশুর খোঁচা

আজ, সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌ অভিযানে নেমে সন্দেশখালিতে বেদম মার খায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে ইডির অফিসাররা মারের চোটে পালাতে শুরু করেন। এমন দৃশ্য আগে দেখা যায়নি। এতদিন ইডি–সিবিআই দাপট দেখিয়েছে একতরফা। এবার পাল্টা দিতেই গোটা রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে যায়। সন্দেশখালি বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক শাহজাহান শেখের বাড়িতে ইডি অফিসাররা হানা দিয়ে তল্লাশি চালায়। পাঁচজনের একটি ইডি প্রতিনিধিদল যায় শাহাজাহান শেখের বাড়িতে যায়। আর তাতেই রক্ত ঝরল। মাথা ফাটল অফিসারের, গাড়ির কাচ ভাঙল। তাড়া খেয়ে পলায়ন করল সকলে। এই নিয়ে মুখ খোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি এদিন জানান, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যপাল কেন কোনও পদক্ষেপ করছেন না?‌ এই প্রশ্ন তোলার পরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সক্রিয় হয়ে ওঠেন। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, নিশীথ প্রামাণিক থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারা অমিত শাহকে ফোন করতে শুরু করেন। এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে আসরে নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা তথা আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

তাতে পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে দেবাংশু ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‌পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন রাজনৈতিক জীবনের জন্য তাঁকে আগাম শুভকামনা।’‌ অর্থাৎ তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। আগেও একাধিক ইস্যুতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে, ইডি উস্কানি দিতেই এমন মারমুখী হয়ে ওঠেন জনগণ।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌তিন মাসের কোলের শিশু নিয়ে প্রবেশ নিষেধ’, নয়া নির্দেশিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

এই ঘটনা নিয়ে অধিকারী পরিবারের আর এক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী আজ সরাসরি ফোন করেন অমিত শাহকে। আর বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার কথা জানান বলে সূত্রের খবর। তবে আজ শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইডি অফিসারদের মার খাওয়া নিয়ে বলেন, ‘‌রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না, রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?‌ ওদের সঙ্গে গুলি–বন্দুক থাকে না। ওঁরা চালাতে পারে না। তদন্তকারীরা আক্রান্ত হলে কী করে তদন্ত হবে? রাজ্যপাল কেন রাজ্যের সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে রিপোর্ট দিচ্ছেন না বুঝতে পারছি না।’‌ সিবিআইয়ের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‌আপনারা কী করছেন? আপনাদের বাহিনী গুলি চালাতে জানে না? দু’‌জনকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠান।’‌