IPL 2024 Exclusive: Shubham Dubey Shares Story Of His Struggle And Dream After Being Sold To Rajasthan Royals For Whopping 5.8 Cr Abpp

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: তাঁর জীবন কাহিনি শুনতে শুনতে মনে পড়তে পারে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) কথা। খড়্গপুরে টিকিট কালেক্টরের চাকরির জাঁতাকলে তখন ধোনির ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নই ভেন্টিলেশনে। মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে এবং ম্যাচের মধ্যে থাকার তাগিদে টেনিস বল ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলেন মাহি। জীবনের যে অধ্যায় ধোনিকে শিখিয়েছিল, হার মানতে নেই।

শুভম দুবের (Shubham Dubey) বৃত্তান্ত শুনতে শুনতে কারও আবার মনে পড়তে পারে মুক্তির পরই ঝড় তুলে দেওয়া ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার চিত্রনাট্য। রিস্টার্ট টি স্টলের মালিক গৌরী ভাইয়া আইপিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে বাঁচা মনোজ শর্মার হতাশা ঝেড়ে ফেলার জন্য বলেছিলেন, ‘তুই জেতা মানে দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীর জীবন যুদ্ধে জয়।’

রিল আর রিয়েল লাইফের জীবন সংগ্রামের আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটেছে শুভমের জীবনে। ক্রিকেট খেলা যেখানে বিলাসিতা-সম। সংসার চালাতে বাবা রজনীপ্রসাদ দুবে খুলেছিলেন পানের দোকান। ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বেতন চাওয়ায় সেই পরিবারের কিশোর হাপুস নয়নে কেঁদেছিলেন। অন্যের কিনে দেওয়া ক্রিকেট সরঞ্জাম ব্যবহার করে খেলা চালিয়ে গিয়েছেন। সেই শুভমই এখন কোটিপতি। দুবাইয়ে আইপিএলের (IPL) মিনি অকশন থেকে ৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় যাঁকে কিনে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। অনেক কষ্টে যা বিশ্বাস করতে পেরেছেন শুভম নিজেই।

বিদর্ভের জার্সিতে রঞ্জি ট্রফি অভিষেক হয়েছে শুভমের। নাগপুরে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলছেন বাঁহাতি ব্যাটার। তার ফাঁকেই সময় বার করলেন এবিপি আনন্দের জন্য। আইপিএলে প্রায় ৬ কোটি টাকা দাম পাওয়ার পর জীবন কতটা বদলাল? নাগপুর থেকে মোবাইল ফোনে শুভম সরল গলায় বললেন, ‘সংসার চালানোর একটা দুশ্চিন্তা সব সময় মাথায় কাজ করত। সেটা কিছুটা কেটেছে। চাপ আছে। তবে সেটা ভবিষ্যতের। আর্থিক দিক থেকে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছি।’ যোগ করলেন, ‘তবে জীবনে সেই বাঁধা রুটিন মেনেই চলছে। সকালে প্র্যাক্টিস। বিকেলে জিম। রঞ্জি ট্রফির প্রস্তুতিও চলছিল জোরকদমে। রঞ্জি ট্রফিতে আমার অভিষেক হল। আইপিএলে দল পাওয়ার পর থেকে কিছুটা গুরুত্ব পাচ্ছি সব জায়গায়। বাবা-মাকে সকলে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আমার কদর বেড়েছে বাড়িতেও। এই আর কী…।’

মাস দুয়েক আগের ঘটনা। দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রস্তুতি শিবির বসেছিল কলকাতায়। সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে। সেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-রিকি পন্টিংয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি সারেন দিল্লির ক্রিকেটারেরা। এসেছিলেন ঋষভ পন্থও। সেই শিবিরে হাজির ছিলেন শুভম। ট্রায়াল দিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে। যদিও সেই সময় তাঁকে দেখে কেউ চিনে ফেলবে, এটা ভাবা আর ভরদুপুরে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ খুঁজে পাওয়া সমার্থক। নীরবে দিল্লির শিবিরে ট্রায়াল দিয়ে গিয়েছিলেন। সৌরভের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলাদা করে কথাবার্তা বলতেও দেখা গিয়েছিল।

সৌরভ কী বলেছিলেন? ‘ছোট থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের খেলা টিভিতে দেখেছি। যখন পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতাম। সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে থেকে দেখলাম। কথা বললাম। সঙ্গে রিকি পন্টিং স্যর। আমি তো বুঝতেই পারছিলাম না যে, স্বপ্ন দেখছি, না বাস্তবে ঘটছে। টিভিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখতাম। যুযুধান দুই অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ ও রিকি পন্টিং স্যর। কী সব রোমাঞ্চকর মুহূর্ত তৈরি হতো! দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রস্তুতি শিবিরে ট্রায়াল দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে পাশাপাশি বসে ছিলেন সৌরভ ও পন্টিং স্যর। অবিশ্বাস্য লাগছিল,’ এখনও যেন ঘোরের মধ্যে রয়েছেন শুভম। তিনি বললেন, ‘নেট সেশনের শেষে সৌরভ স্যরকে জিজ্ঞেস করি, কীভাবে আরও উন্নতি করতে পারি? স্যর একটাই পরামর্শ দিয়েছেন। যা আজীবন মনে রাখব। বলেছেন, ব্যাট ধরতে বা খেলতে তো সবাই পারে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চাপের মুখে কে কীরকম পারফর্ম করছে। চাপ সামলাতে পারলে তবেই সফল হওয়া যায়।’

বাংলার বিরুদ্ধে একটা ইনিংস যেন তাঁর জগৎ বদলে দিয়েছিল। গত বছরের অক্টোবরে মোহালিতে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ম্যাচে বাংলা প্রথমে ব্যাট করে ২১২ রান তুলেছিল। রান তাড়া করতে নেমে করুণ নায়ারের দুরন্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল বিদর্ভ। সব হিসেব নিকেশ বদলে দেন শুভম। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৯ বছরের ক্রিকেটার ২০ বলে করেন অপরাজিত ৫৮ রান। তিন চার, ছয় ছক্কা। স্ট্রাইক রেট তিনশো ছুঁই ছুঁই। ১৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় বিদর্ভ। সেই সঙ্গে শুভমের নাম ঢুকে যায় আইপিএলের একাধিক দলের স্কাউটদের নোটবুকে।

সেই ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে শুভম যদিও নির্লিপ্ত। বলছিলেন, ‘সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচ থেকেই ছন্দে ছিলাম। বাংলার বিরুদ্ধে ম্যাচেও দলকে জেতানোর লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। ২১২ তাড়া করতে নেমে মনে আছে করুণ নায়ারের সঙ্গে ব্যাট করছিলাম। ক্রিজে কিছুক্ষণ কাটানোর পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করি। ব্যাটে-বলে হতে শুরু করতেই বুঝে যাই, দিনটি আমার। করুণ ভাইয়াও ভাল ব্যাটিং করছিল। ম্যাচ জিতে যাই।’

অভাবী পরিবারের সন্তান শুভম। ক্রিকেট শুরু কীভাবে? ‘এখন তো ভারতে ক্রিকেট ধর্ম হয়ে গিয়েছে। প্লাস্টিক বলেও খেলতে শুরু করে দেয় সকলে। আমাদের বাড়িতে কেউ কোনওদিন ক্রিকেট খেলেনি। কেউ জানতই না যে, ক্রিকেট খেলেও রোজগার করা যায়। পড়াশোনা করতাম। রবিবার করে ক্রিকেট খেলতাম। স্কুলে আমার দুই বন্ধু ছিল। ওরা অ্যাকাডেমিতে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিত। ওদের সঙ্গেই একদিন ডিউস বলে খেলা শুরু করি। সেই সময় আমি পেস বোলিং করতাম। সবাই তখন ব্রেট লি, শোয়েব আখতারের রান আপ ও বোলিং অ্যাকশনের অনুকরণ করত। আমিও করতাম। ক্লাস নাইনে এভাবেই খেলা শুরু হয়,’ বলছিলেন শুভম।

বিদর্ভের তরুণ আরও বললেন, ‘আমার কাকার এক বন্ধু একদিন কাকাকে এসে বলেন যে, গলিতে ক্রিকেট খেলে শুভম। চিৎকার চেঁচামেচি করে। ওকে ক্রিকেট ক্লাবে দিচ্ছিস না কেন? নাগপুরে সুদীপ জয়সওয়াল নামে এক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ক্রিকেট ক্লাব চালাতেন। সেখানে অভাবী ছেলেদেরও ক্রিকেট শেখানো হতো। খেলার সুযোগ দেওয়া হতো। সেখানে যাই আমি। খেলা শুরু হয়।’

কিন্তু লড়াইয়ের সেই সবে শুরু। ক্লাবে মাইনে দিতে পারেননি। ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন শুভম। তাঁর কথায়, ‘একদিন বেতন চাওয়া হয়। আমি কেঁদে ফেলি। তখন জানতে চাওয়া হয়, কাঁদছি কেন? আমি বলি, মাইনে দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে নিখরচায় খেলার ব্যবস্থা করা হয়। সত্যিই সেই সময়ের জন্য আমি ক্লাবের কাছে কৃতজ্ঞ।’

তারপর থেকে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা – প্র্যাক্টিসে ঢিলেমি দেননি শুভম। প্রবল গরমেও দুপুরে ঠিক হাজির হয়ে যেতেন ক্লাবে। প্র্যাক্টিসের জন্য। সেখানেই বিদর্ভের ক্রিকেটার ফৈয়জ ফজলের সঙ্গে আলাপ। শুভম বলছেন, ‘ফজল ভাইয়াকে দেখি ক্লাবে। মহম্মদ করিমের সঙ্গেও আলাপ হয়। ফজল ভাইয়া ওখানে প্র্যাক্টিস করতে আসতেন। ওঁকে দেখে আমি ওঁর ভক্ত হয়ে যাই। ফজল ভাইয়াও বাঁহাতি, আমার মতোই। সকলে ভীষণ সম্মান করেন। দেখেই ভাল লেগে যায়। সকলে বলাবলি করতেন, ফজল ভাই ভিসিএ-র হয়ে খেলেন। বিদর্ভ ক্রিকেট সংস্থা। আমি তো তখন ভিসিএ-র নামই শুনিনি।’

শুভম যোগ করলেন, ‘বাবা একটা কিট ব্যাগ কিনে দিয়েছিল অনেক কষ্টে। সেটা নিয়েই প্র্যাক্টিসে যেতাম। অ্যাডভোকেট ক্রিকেট ক্লাবে খেলতে খেলতেই বিদর্ভের অনূর্ধ্ব ১৯ শিবিরে সুযোগ পাই। পরে অনূর্ধ্ব ২৩ শিবিরেও ডাক আসে। অ্যাডভোকেট ক্রিকেট ক্লাবে খেলতে খেলতেই প্যাড, গ্লাভস, কিট ব্যাগ ইত্যাদি পেতাম। বিদর্ভ ক্রিকেট সংস্থার কর্তারাও বরাবর পাশে থেকেছেন।’

বাড়ি থেকে কোনও হাতখরচ পেতেন না। বাবার সেই সামর্থ্যও ছিল না। নিজের খরচ নিজেকে চালাতে হতো। বাধ্য হয়ে টেনিস বলের ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন শুভম। তাঁর কথায়, ‘বাড়ি থেকে কেউ কখনও খেলা ছেড়ে দিতে বলেনি। একবারই শুধু একটু বকাঝকা করেছিল। আমি বুঝিয়েছিলাম, ক্রিকেট খেলে পেশাদার ক্রিকেটার না হলে কোচিং করিয়েও অন্ন সংস্থান করতে পারব। ক্রিকেট খেলে যে সরকারি চাকরিও পাওয়া যায়, সেটাও বলেছিলাম।’

ধোনির টেনিস বল ক্রিকেট খেলার কাহিনির সঙ্গে নিজের জীবনের মিল পান? হেসে শুভম বলছেন, ‘আমি এখনও চাকরি পাইনি। ধোনি স্যর তো চাকরি পেয়েছিলেন। আমার পায়ের নীচের মাটি বরাবর আলগা ছিল। বয়স বাড়ছিল। পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল সংসারের চাপও। টেনিস বলে ম্যাচ খেলে রাত করে বাড়ি ফিরেছি। কিন্তু কোনও দিন নেশা করিনি। খারাপ কাজ করিনি। বাড়ির লোক তাই আস্থা রাখত। রাত একটায় ফিরলেও কোনওদিন সমস্যা হয়নি।’

সুখের দিনেও বাবার ও সংসারের লড়াই ভুলতে পারেন না শুভম। বলছিলেন, ‘বাবার পানের দোকান ছিল। আমাদের দু’ভাই একটু বড় হওয়ার পর উনি হোটেলে নাইট ম্যানেজারের কাজ শুরু করেন। তারপর আমার মাসতুতো দাদা বাবাকে নাগপুরে এক প্রোমোটারের কাছে কাজে লাগিয়ে দেয়। সেখানেও কাজ শিখে নেন দ্রুত। পরে অগ্রবালদের সেই সংস্থা লোকসানে চলছিল বলে বন্ধ হয়ে যায়। বাবা নিজেই সেই কাজ শুরু করেন।’ অভাব কখনও পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে? শুভম বলছেন, ‘মাঠে ঢুকে পড়লে আর বাইরের বিশ্ব নিয়ে কিছু ভাবার অবকাশ হয় না।’

প্রিয় ক্রিকেটার কে? ‘আমার নির্দিষ্ট কোনও প্রিয় ক্রিকেটার নিই। সকলের থেকেই কিছু না কিছু শিখি। যুবরাজ সিংহের খেলা খুব ভাল লাগত। তারপর মাহি ভাইয়ের ভক্ত হয়ে পড়ি। যেভাবে শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে আসতেন, আমার দারুণ লাগত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যাটিংও ভাল লাগত। গৌতম গম্ভীরের আগ্রাসী ব্যাটিং, এখন বিরাট কোহলির ব্যাটিং ভাল লাগে,’ বলছিলেন শুভম।

৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় কী করবেন ঠিক করেছেন? শুভম হাসতে হাসতে বললেন, ‘সত্যিই প্রথম দু-তিনদিন মুশকিলে পড়ে গিয়েছিলাম। এত লোক আসছিল সারাদিন। সকলেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। যেন লটারি পেয়েছি।’ একটু থেমে যোগ করলেন, ‘টাকা বাড়ির লোকেরা যা বলবে সেটাই করব। এখনও কিছু স্থির করিনি।’ তারপরই পরিণত গলায় বললেন, ‘পয়সা আসবে, যাবে। পরীক্ষা কিন্তু দিতে হবে মাঠে। সফলও হতে হবে।’

কোটিপতি হওয়ার পরেও সেই একই রুটিন। সকালে ম্যাচ বা মাঠে প্র্যাক্টিস, বিকেলে জিম। ছুটির দিনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে, সময় কাটাতে পছন্দ করেন শুভম। বলছিলেন, ‘প্রকৃতি ভালবাসি। কোথাও খেলতে গেলে মন্দিরে যাই।’

শুধু টাকার অঙ্ক নিয়ে ভাবলে, আইপিএল অনেকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সকলে যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ড্য, রিঙ্কু সিংহ হতে পারেন কই! পবন নেগি, কে সি কারিয়াপ্পাদের মতো কত তরুণ হারিয়ে গিয়েছেন। শুভম সে জন্য সতর্ক। বলছেন, ‘আগে থেকে বেশি ভাবছি না। জানি, আইপিএলের মঞ্চে হয় সফল হব। অথবা হারিয়ে যাব। বেশি ভেবে লাভ নেই। শুধু পরিশ্রম বাড়িয়ে দিয়েছি। যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, সেভাবেই খেলব। অনেক বড় বড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে পারব, শিখতে পারব। সেটার জন্যই মুখিয়ে রয়েছি।’

টাকার অঙ্কে নয়, বাইশ গজের পারফরম্যান্স দিয়েই লোকে মনে রাখুক, প্রার্থনা বিদর্ভের তরুণের। তাঁর সাফল্য মানে যে শুধু ব্যক্তিবিশেষের জয় নয়, বিজয়ীর হাসি ফুটবে অভাব উড়িয়ে মাঠে নামা হাজার হাজার তরুণেরও…

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে