Seikh Sahjahan: মৃত্যু একদিন হবেই তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই, গোপন ডেরা থেকে অডিয়ো বার্তা শাহজাহানের

সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় গুন্ডাবাহিনীর হাতে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেপাত্তা তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। ইডির দাবি, বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টায় আছে সে। এই নিয়ে জল্পনার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় গোপন ডেরা থেকে অনুগামীদের বার্তা দিলেন শুক্রবারের তাণ্ডবের মূলচক্রী। বললেন, মৃত্যু সবার হবে। আগে বা পরে। তাই ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

এদিন অডিয়ো বার্তায় শাহজাহানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালির সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বাসিন্দার কাছে অনুরোধ কেউ আমার এলাকায় অঞ্চল ও যুব সভাপতি ও মহিলা সভানেত্রী যারা আছেন, সমস্ত অঞ্চল প্রধান, বুধ সভাপতি, বুথ কর্মী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক যারা আছে। সবার কাছে আমার অনুরোধ, সিবিআই – ইডি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ওরা আমাকে দমাতে পারলে মনে করছে সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেসটা দুমড়ে যাবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার মতো হাজার হাজার শেখ শাহজাহান আছে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে আমার আপনার সবার জন্য করেছে। সেই জায়গায় আমরা সবাই মানুষ। আমাদের মৃত্যু যে সত্য সেটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। সবার কাছে করজোড়ে অনুরোধ করব, মনুষত্ব বিসর্জন দিয়ে কোনও ধর্ম কাজে আসে না। মৃত্যু একদিন হবে সবার তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগে আর পরে’।

শাহজাহানের দৃপ্ত ঘোষণা, ‘আমি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত নই। কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাহলে আমি নিজের মুন্ডুটা নিজে কেটে ফেলব। কোনও দিন কোনও মানুষের সামনে মুখ দেখাব না। যতদিন বেঁচে থাকব অন্যায়ের সঙ্গে আপস করব না। ওরা যে চক্রান্ত করছে সেটা প্রমাণ হবে, একটু সময় লাগবে। আপনারা আস্থা হারাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবেন। আমার কী হবে, আমি কোথায় যাব সেটা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। আমি যেন মনকে বোঝাতে পারি যে আমার সৈনিকরা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে আছে ও থাকবে। এই আহ্বান সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সন্দেশখালিবাসীর কাছে রইল। সবাইকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা জানাই’।

শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে কয়েকশ দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভাঙা হয় একের পর এক সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি।