Bangladesh election: বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট, বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেফতারের নির্দেশ

আজ রবিবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে চলছে সাধারণ নির্বাচন। ২৯৯টি কেন্দ্রে চলছে ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ভোটের আগে সেখানে একাধিক স্কুলে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতেও ভোটের বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা দুটি স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরমধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে এবং দ্বিতীয় ঘটনাটি গাজিপুর শহরের। এদিকে, আজ ভোট শুরু হতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে কারচুপি থেকে শুরু করে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বাতিল করে দিল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: ‘‌বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’, প্রধান বিরোধী দলকে তোপ শেখ হাসিনার

জানা গিয়েছে, নরসিংদী-৪ আসনের সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই আসনে আওয়ামী লিগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তাঁর ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হুমায়ূন নরসিংদী-৪ থেকে আওয়ামী লিগের টিকিটে পুনরায় নির্বাচনে লড়ছেন। এই আসনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নরসিংদী জেলার আওয়ামী লিগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম খান বিরু। কারণ সেখানে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন। তাই ভোটে হারার আশঙ্কায় ছাপ্পা ভোট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরে হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ১২টি ব্যালটে জোরপূর্বক আওয়ামী লিগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’য় সিল মারেন। জানা যায়, একদল কর্মী নিয়ে তিনি ওই নির্বাচনী কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছিলেন। তারপরেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে তাতে ছাপ্পা ভোট দেন বলে অভিযোগ। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনার।

অন্যদিকে, ভোট গ্রহণের আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফেনী ও রাজশাহীতে অন্তত পাঁচটি বিদ্যালয়ে আগুন লাগানো হয়। মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার চণ্ডীঘাট ইউনিয়নের সাবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুক্রবার রাতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুলের তিনটি ঘরের দরজা পুড়ে গিয়েছে। এছাড়া, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ধলাইপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শনিবার দুপুরে আগুন লাগানো হয়। এছাড়া গাজীপুর জেলায় শনিবার দুটি ভোটকেন্দ্রে, চট্টগ্রামের খুলশি ও বন্দর এলাকায় তিনটি ভোটকেন্দ্রে,ময়মনসিংহের নান্দাইল ও গফরগাঁও উপজেলায় দুটি ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত ১৪ টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।